বিশৃঙ্খলা ও গোলাগুলির পেছনে ছিল ‘গোয়েন্দা সংস্থা’: ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, তাঁকে গ্রেপ্তারের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা ও গোলাগুলির পেছনে ‘গোয়েন্দা সংস্থার লোক’ জড়িত ছিলেন। তাঁদের কাছে এ–সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ আছে বলে দাবি করেছেন তিনি। গতকাল সোমবার নিজের ভেরিফায়েড টুইটারে তিনি এ দাবি করেন।
গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকেই ইমরানকে গ্রেপ্তার করেন এনএবির সদস্যরা। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও ব্যাপক সহিংসতা হয়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনে। লাহোরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ এক কর্মকর্তার বাসভনেও তাণ্ডব চালান বিক্ষোভকারীরা।
সেদিনের ঘটনাকে সেনাবাহিনী ‘কালো অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছিল। এরপর সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টসহ প্রাসঙ্গিক আইনের অধীনে বিক্ষোভকারীদের ও তাঁদের মদদদাতাদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরপরই ইমরানের এই বিবৃতি আসে।
টুইটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, বিক্ষোভের সময় পিটিআই সমর্থকদের দোষী সাব্যস্ত করতে আগুন দিয়েছেন ও গুলি চালিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এ বিষয়ে পিটিআইয়ের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় ইমরান খান বলেছেন, বিভিন্ন সরকারি ভবন ও লাহোরে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে তাণ্ডব চালানো ছিল ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের’ অংশ। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে উসকানি দিয়েছে। এমন ভিডিও তাঁর দলের কাছে আছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় (ভাঙচুরের) আমি একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি চাই।’ পিটিআইকে নিষিদ্ধ করে দলের সব নেতাকে কারাগারে পাঠাতে নওয়াজ শরিফের ‘লন্ডনি পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন করতে এসব ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।