পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ওপর দেশটির সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়ে দেওয়া প্রেসিডেনশিয়াল রেফারেন্সের ওপর শুনানি পুনরায় শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইসার নেতৃত্বে গঠিত ৯ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি হয়।
পাকিস্তানের সংবিধানের ১৮৬ অনুচ্ছেদের অধীনে ২০১১ সালের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টে ওই রেফারেন্স পাঠিয়েছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। এর ওপর সর্বশেষ শুনানি হয়েছিল ২০১২ সালের জানুয়ারিতে। শুনানি হয়েছিল তত্কালীন প্রধান বিচারপতি ইফতেখার মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ১১ সদস্যের বেঞ্চে।
আজ আবেদনের শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। শুনানিতে ১১ বছরের বেশি সময় পর শুনানি আবার শুরু হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইসা। তিনি বলেন, এটি সবচেয়ে দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকা কোনো প্রেসিডেনশিয়াল রেফারেন্স।
১৯৭৮ সালে জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মৃত্যুদণ্ড দেন লাহোর হাইকোর্টের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ। পরে ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতও রায় বহাল রাখলে ১৯৭৯ সালে ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সে সময় পাকিস্তানে জেনারেল জিয়াউল হকের অধীনে সামরিক শাসন চলছিল। ১৯৭৭ সালে ভুট্টো সরকারকে হটিয়ে দেশটির ক্ষমতা দখল করেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউল হক। অনেকেই মনে করেন, ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ডের সাজার পেছনে জিয়াউল হকের হাত ছিল।