প্রকাশ্যে আসে না পাকিস্তানের নারী চিকিৎসকদের হয়রানির খবর
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৩১ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসককে হাসপাতালে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্রোহ, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে উত্তাল। এ পরিস্থিতিতে পাশের দেশ পাকিস্তানে নারী চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে নাজুক পরিস্থিতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিবিসি ১২ জনের বেশি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছে। সেখানে তাঁরা বলেছেন, পাকিস্তানের হাসপাতালে নারী স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত হয়রানি, সহিংসতা ও বাজে মন্তব্যে বিদ্ধ হন। এ আচরণগুলো করেন পুরুষ সহকর্মী, রোগী ও রোগীর স্বজনেরা।
তবে এসব ঘটনা খুব একটা প্রকাশ্যে আসে না। অনেকে এ নিয়ে অভিযোগ করতে ভয় পান। যদি কেউ অভিযোগ করেনও, তাঁদের বলা হয়, তাঁদের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। দেশটিতে হাসপাতালে যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ে ‘নীরবতা’, ‘লজ্জা’ ও ‘ভয়ের সংস্কৃতি’ এখনো রয়েছে।
বিবিসির সঙ্গে যেসব নারী চিকিৎসক কথা বলেছেন, তাঁরা প্রত্যেকে চাকরি ও সম্মান হারানোর ভয়ে নাম গোপন রাখতে বলেন। কয়েক মাস আগের এক ঘটনার কথা বলেন চিকিৎসক নুসরাত (ছদ্মনাম)। কম বয়সী এক নারী চিকিৎসক তাঁর কাছে এসেছিলেন। অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল তাঁর। তিনি জানান, তিনি (কম বয়সী নারী চিকিৎসক) শৌচাগারে গিয়েছিলেন। সেই দৃশ্য দেয়ালের একটি ছিদ্র দিয়ে ভিডিও করেন এক পুরুষ সহকর্মী। এটি দিয়ে পরে তাঁকে একধরনের জিম্মিও করেন।
নুসরাত বলেন, ‘আমি তাঁকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায় অভিযোগ করতে বলেছিলাম। কিন্তু সে রাজি হয়নি। সে জানায়, সে চায় না এটা জানাজানি হোক বা আইন-আদালত হোক।’ নুসরাত আরও জানান, আরও তিন নারী চিকিৎসক এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে তিনি জানেন।
পুলিশের ওপর মহলে ডা. নুসরাতের চেনাজানা ছিল। তিনি বিষয়টি তাঁকে জানান। ওই পুলিশ কর্মকর্তা ওই ভিডিও ধারণকারীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন যে ভিডিওটি মুছে ফেলা হয়েছে। নুসরাত বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনভাবে, আমরা আর কোনো পদক্ষেপ নিইনি। শুধু দেয়ালের ছিদ্রটুকু বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে কেউ আর এমন করতে না পারে।’
অন্য নারী চিকিৎসকেরা তাঁদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ডা. আমানাও (ছদ্মনাম) আছেন। তিনি পাঁচ বছর আগে সরকারি একটি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ছিলেন। তখন তিনি সেখানে একজন প্রভাবশালী জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের নিশানায় পরিণত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার হাতে কোনো ফাইল দেখলে ওই চিকিৎসক ঝুঁকে সেটা পড়ার চেষ্টা করতেন, অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতেন এবং কোনো না কোনোভাবে আমাকে স্পর্শ করতে চাইতেন।’
আমানা এ নিয়ে হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসন তেমন আগ্রহ দেখায়নি। তিনি বলেন, তাঁকে বলা হয়, তিনি এখানে যোগ দিয়েছেন মাত্র কয়েক দিন হয়েছে। এসব অভিযোগের কী প্রমাণ আছে তাঁর কাছে। তারা এটাও বলে, ‘এই ব্যক্তিকে আমরা সাত বছরে ঠিক করতে পারিনি, কিছুই পাল্টাবে না এবং আপনাকেও কেউ বিশ্বাস করবে না।’
সে সময় চিকিৎসক হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য সেই জায়গায় তাঁর দায়িত্ব পালন করাটা খুব প্রয়োজন ছিল। আমানা বলেন, সেখানকার মেয়াদ শেষ হতেই তিনি সরে পড়েন।
ডা. আমানা বলেন, তিনি এমন কয়েকজন নারীকে চেনেন, যাঁরা এই জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের হয়রানির শিকার এবং তাঁদের কাছে সেই ঘটনার ভিডিও রয়েছে। কিন্তু এতেও কিছুই হয়নি। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে শুধু কয়েক মাসের জন্য অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, পরে তিনি আবার ফিরে আসেন।
করাচিতে প্রধান পুলিশ সার্জন ও দেশটিতে ধর্ষণের শিকার নারীদের জন্য প্রথম সহায়তা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক সুমাইয়া তারিক সাইদ বলেন, এ সমস্যার মূল কারণ হলো বিশ্বাস ও জবাবদিহির ঘাটতি। ২৫ বছরের কর্মজীবনকে তিনি সহিংসতা ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে অবিরাম যুদ্ধ বলে মনে করছেন। এসব ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে সেভাবে নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে তিনি হতাশ।
নিজের এক অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে সুমাইয়া বলেন, কয়েক বছর আগে তিনি অন্য পদে কাজ করতেন। তিনি এক ব্যক্তির ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন লিখেছিলেন। কিন্তু তা পাল্টাতে কয়েকজন সহকর্মী তাঁর ওপর চাপ প্রয়োগ করছিলেন। এমনকি তারা তাঁকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করেন। তিনি বলেন, ‘তাঁরা বলেন, এখানে সই করো, না হলে চিন্তাও করতে পারবে না, আমরা কী করব।’ কিন্তু তিনি মানেননি। পরে দেখা যায়, ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের একজনকে উচ্চ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। আর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
পাঞ্জাবের একটি সরকারি হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক বলেন, হয়রানির অভিযোগ করা একজন নারীর জন্য খুবই কঠিন। তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা তদন্তে যে কমিটি গঠন করা হয়, সেখানে দেখা যায়, অভিযুক্ত চিকিৎসক বা তাঁর কাছের সহকর্মীদের রাখা হয়। তাহলে একজন কেন অভিযোগ করে নিজের জীবনকে আরও ঝুঁকির মুখে ফেলবে?’
পাকিস্তানে যৌন হয়রানির শিকার নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে সরকারি হিসাব নেই। কিন্তু ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তানে ৯৫ শতাংশ নার্স তাঁর কর্মস্থলে সহকর্মী, রোগী এবং রোগীর স্বজনদের দ্বারা অন্তত একবার হলেও সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতন এবং হুমকি, আপত্তিকর কথা বলে মানসিক নির্যাতনও রয়েছে।
পাকিস্তান জার্নাল অব মেডিসিন অ্যান্ড ডেন্টিস্ট্রিতে প্রকাশিত আরেকটি জরিপে ২০১৬ সালে লাহোরে সরকারি হাসপাতালগুলোর ওপর পরিচালিত এক জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ৩০ শতাংশ নারী চিকিৎসক কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের ওপর পরিচালিত আরেকটি প্রতিবেদনের তথ্যও তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, ৬৯ শতাংশ নার্স ও ৫২ শতাংশ নারী চিকিৎসক কর্মস্থলে অন্য কর্মীদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
চিকিৎসক আমানা বলেন, ‘আমার হাতে কোনো ফাইল দেখলে ওই চিকিৎসক ঝুঁকে সেটা পড়ার চেষ্টা করতেন, অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতেন এবং কোনো না কোনোভাবে আমাকে স্পর্শ করতে চাইতেন।’
পাকিস্তান ইকোনমিক সার্ভের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ কোটির বেশি মানুষের দেশ পাকিস্তানে মাত্র ২ লাখ ৯৯ হাজার চিকিৎসক রয়েছেন, যার অর্ধেকের কম নারী। আর নার্সের সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার।
করাচিতে প্রধান পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া ২০১০ সালে করাচির একটি ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক একজন নার্সকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে তাঁর হোস্টেলে নিয়ে যান। তবে সেখানে তিনি একা ছিলেন না। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বন্ধু, তাঁরা চিকিৎসক।’ ওই নার্স ধর্ষণের শিকার হন। এরপর তিনি ভবনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন। এক সপ্তাহ তিনি কোমায় ছিলেন। এত কিছুর পরও ওই নার্স অভিযোগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ডা. সুমাইয়া মনে করেন, ওই নার্স অভিযোগ করলেও সমাজ তাঁকে দোষ দিত। তিনি বলেন, রোগী ও তাঁদের স্বজনেরাও হয়রানি ও হুমকি দেন। এমনই এক হয়রানির শিকার হয়ে তিনি গত বছর থানায় মামলা করেন। বিষয়টি এখন আদালতে যাওয়ার অপেক্ষায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের লড়াইটি চালিয়ে যেতে হবে। চুপ করে থাকা মানে অপরাধীকে আরও সুযোগ করে দেওয়া।’
হাসপাতালে নিরাপত্তা–সংকটের বিষয়টি উঠে আসে কয়েকজন নারী চিকিৎসকের বর্ণনায়। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে, সেখানে যে কেউ ঢুকে যেতে পারে। অন্তত তিনজন বলেন, যারা তাঁদের মারধর করেছে, তারা সাধারণ মানুষ ছিল। তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। অথচ পাকিস্তানে মদ্যপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
ডা. সাদিয়া (ছদ্মনাম) বলেন, করাচিতে একটি বড় সরকারি হাসপাতালে তাঁর বেশ কয়েকজন নারী সহকর্মী বেশ কয়েকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। একদিন সন্ধ্যায় তাঁর এক সহকর্মী এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। এ সময় মদ্যপ একজন তাঁকে হয়রানি করতে শুরু করে। আরেক দিন অন্য এক চিকিৎসক হামলার শিকার হন। সে সময় এগিয়ে আসেন অন্য চিকিৎসকেরা। তাঁদের ধাওয়ার মুখে দৌড়ে পালায় হামলাকারী। কিন্তু সে সময় চারপাশে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না।
পাকিস্তানে নার্সদের একটা বড় অংশই সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে তারা অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
এলিজাবেথ থমাস (ছদ্মনাম) নামের একজন নার্স বলেন, মাতাল অবস্থায় আসা রোগীরা তাঁদের ধরতে চায়, এটা ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আতঙ্কিত বোধ করি। আমরা ওই ব্যক্তিকে সামলাব, নাকি নিজেদের রক্ষা করব, ভেবে উঠতে পারি না। নিজেদের খুব অসহায় লাগে। অথচ আমাদের সাহায্য করার জন্য কোনো নিরাপত্তারক্ষী থাকে না।’
পাকিস্তান ইকোনমিক সার্ভে ২০২৩-এর তথ্যমতে, দেশটিতে ১ হাজার ২৮৪টি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল বলে চিকিৎসকেরা বলেন।
স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা বলেন, অনেক হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। যেগুলোতে আছে, সেগুলো সংখ্যায় অনেক কম, আবার অনেক সময় সেগুলোও কাজ করে না। হাজারো রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা প্রতিদিন হাসপাতালে আসেন। আর স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা এখানে খুব স্বাভাবিক। ডা. সাদিয়া বলেন, একবার তিনি রোগীর স্বজনের হামলার শিকার হয়ে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন। ইনজেকশন দেওয়ার আগে কেন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলের জন্য রোগীকে অপেক্ষা করা হলো, সেই ক্ষোভ থেকে তাঁর ওপর হামলা হয়।
পাকিস্তানে নার্সদের একটা বড় অংশই সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে তারা অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। নার্স এলিজাবেথ থমাস বলেন, ‘আমি এমন অনেক নার্সকে চিনি, যাঁরা হয়রানির শিকার। তাঁরা যদি কথা না শোনেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনার হুমকিও দেওয়া হয়। আবার তাঁদের মধ্যে কেউ দেখতে খুব সুন্দর হলে তাঁকে ধর্ম পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয়।’
হয়রানি ও নির্যাতনের বাই মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি, তা হলো লম্বা সময়ের পালা (শিফট)। তা–ও আবার মৌলিক সুবিধাদি ছাড়া।
ডা. সাদিয়া বলেন, ‘আমার প্রশিক্ষণ চলার সময় ৩০ ঘণ্টার পালাতে কাজ করতাম। বিশ্রাম নেওয়ার ন্যূনতম জায়গাটি ছিল না। তাই আমাদের বিশ্রামের জন্য বাইরে যেতে হতো। আমি এক সহকর্মীর গাড়িতে ১৫ মিনিট করে বিশ্রাম নিতাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন জরুরি বিভাগে কাজ করি, সেখানে কোনো শৌচাগার ছিল না। আমরা ১৪ ঘণ্টা শিফটে শৌচাগারে যেতে পারতাম না। এমনকি আমাদের ঋতুস্রাবের সময়ও আমরা শৌচাগারে যেতে পারতাম না। কারণ, হাসপাতালের কর্মীদের জন্য শৌচাগার ছিল অন্য ব্লকে। আর সেখানে যাওয়ার মতো সময় আমাদের ছিল না।’
বিবিসি পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের এই চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁদের কাছ থেকে উঠে আসা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে স্থানীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি ইসলামাবাদের জাতীয় স্বাস্থ্য সমন্বয়কের সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করে বিবিসি। কিন্তু তাঁদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ভারতের এই চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা পাকিস্তানের নারী চিকিৎসকদের ভাবিয়ে তুলেছে, কীভাবে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়? ডা. সাদিয়া বলেন, এ ঘটনায় তিনি খুবই মর্মাহত ও চিন্তিত এবং এরপর তিনি তাঁর কাজের সময় বদলে নিয়েছেন। বলেন, ‘আমি এখন অন্ধকার বা নির্জন কোনো জায়গায় যাই না। লিফটে না গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করি।’ এলিজাবেথ থমাসের মনে ভারতের এ ঘটনা নাড়া দিয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর সাত বছর বয়সী মেয়ে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। কিন্তু তাঁর মনে ভয়, পাকিস্তান কি নারী চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ?