বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে পাকিস্তানে মালালা
বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। আজ মঙ্গলবার তিনি করাচি পৌঁছান। খবর জিও নিউজের
মালালার সঙ্গে তাঁর মা-বাবাও রয়েছেন। তাঁদের এ সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়াতে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছেন নোবেল বিজয়ী ও নারী শিক্ষার এই ক্যাম্পেইনার।
পাকিস্তানে এবারের বর্ষা মৌসুমে অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণ হয়েছে। এতে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে যায়। সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশে ফসলহানি এবং সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইউসুফজাই বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণসহায়তার জন্য মালালা ফান্ড থেকে আর্থিক সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) জন্য জরুরি ত্রাণসহায়তা অনুমোদন করে মালালা ফান্ড। বন্যাদুর্গত সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের নারীদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা প্রদানে এ অর্থ ব্যয় করবে আইআরসি।
মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে জরুরি শিক্ষা পরিষেবা প্রদানেও এ তহবিল ব্যয় করা হবে। মালালা ফান্ডের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সংস্কার ও পুনর্বাসনকাজ করা হবে।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার নিজ দেশ পাকিস্তান সফর করছেন ২০১৪ সালে নোবেলজয়ী মালালা। সোয়াত উপত্যকায় স্কুল থেকে ফেরার পথে খুব কাছ থেকে ২০১২ সালের অক্টোবরে তাঁর মাথায় গুলি করে তালেবান বন্দুকধারীরা।
মালালাকে প্রথম পেশোয়ারের সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হয়। ওই গুলির ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। শিশুশিক্ষা প্রসারের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পান মালালা। তিনি সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী।