ইমরানের লংমার্চে দুর্ঘটনায় নারী সাংবাদিক নিহত
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের লংমার্চের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় এক নারী সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। খবর জিও নিউজ ও ডনের।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় লাহোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাংবাদিকের নাম সাদাফ নাঈম। তিনি দেশটির বেসরকারি ‘চ্যানেল ৫’ নামের সংবাদভিত্তিক টিভিতে কর্মরত ছিলেন।
লংমার্চটি লাহোরের জিটি রোড থেকে পাঞ্জাবের কামোকে যাচ্ছিল, পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। লংমার্চের জন্য কনটেইনার বসিয়ে বিশেষভাবে তৈরি গাড়ি থেকে সাদাফ পড়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি কনটেইনারবাহী গাড়ির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান।
চ্যানেল ৫ বলছে, যে কনটেইনার গাড়িতে ইমরান খান ছিলেন, সেটি থেকেই পড়ে যান সাদাফ। একই গাড়ির নিচে তিনি চাপা পড়েন।
দুর্ঘটনায় পর তাৎক্ষণিকভাবে গতকালের মতো কর্মসূচি শেষ করার ঘোষণা দেন পিটিআই চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সাদাফের স্বামীর নাঈম। এই দম্পতির ২১ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে আছে। নাঈম সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের মেয়ে টেলিভিশনে দেখার পর সাদাফের মৃত্যুর বিষয়টি পরিবার জানতে পারে।
নাঈম বলেন, সন্তানেরা গতকাল সাদাফকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে যেতে বারণ করেছিল কিন্তু তিনি শোনেননি।
দুর্ঘটনার পর লংমার্চ থেমে যায়। ইমরান খান কনটেইনার থেকে নিচে নেমে আসেন।কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেন, লংমার্চ আজ সোমবার গুজরানওয়ালার কামোকে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে তাঁরা এখনই লংমার্চ শেষ করবেন। আজ লংমার্চ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
নিহত সাংবাদিকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন পিটিআই চেয়ারম্যান। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, লংমার্চের কনটেইনার থেকে নামার সময় পা পিছলে নিচে পড়ে যান সাদাফ। পরে কনটেইনারবাহী গাড়িটি তাঁর ওপর দিয়ে চলে যায়।
আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে গত শুক্রবার দ্বিতীয় লংমার্চ শুরু করে পিটিআই। আগামী ৪ নভেম্বর লংমার্চ রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত এপ্রিলে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। ক্ষমতা হারানোর পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছে পিটিআই।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মে ইসলামাবাদ অভিমুখে প্রথম লংমার্চের ঘোষণা দেন ইমরান খান। তবে সরকারের বাধায় এই কর্মসূচি সহিংস রূপ নিয়েছিল। তখন মাঝপথে হঠাৎ কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন ইমরান খান।