ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণায় নির্বাচন কমিশনে আবেদন, আইনি ব্যবস্থা চান নওয়াজও
পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) বরাবর আবেদন জমা পড়েছে।
পিটিআই নিষিদ্ধ উৎস থেকে তহবিল পাচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন রায় দেওয়ার পর আমুন তারাক্কি পার্টির চেয়ারম্যান ফাইক শাহ আবেদনটি করেন। একইদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফও বলেছেন, তিনি চান সরকার ইমরানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিক। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ডনের।
ভুয়া হলফনামা জমা দেওয়ার কারণে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে সংবিধানের ৬২(১)(এফ) অনুচ্ছেদের আওতায় অযোগ্য ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন ফাইক শাহ।
জাতীয় পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান যেসব বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিলেন তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইমরানকে সরিয়ে দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে ইমরানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএলএন প্রধান নওয়াজ শরিফ। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের রায়ের পর এ আহ্বান জানান তিনি।
লন্ডনে নিজ বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে নওয়াজ বলেন, ‘আজ প্রমাণ হয়ে গেছে এবং গোটা দেশ জেনে গেছে ইমরান খান দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চোর।’
নওয়াজ আরও বলেন, ইমরান খান যে উপায়ে বিদেশিদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন তাতে প্রমাণ হয় তিনিই সে ব্যক্তি যিনি দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি এজেন্ডা নিয়ে এসেছেন।
পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আকবর এস. বাবরের করা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতানা রাজা বলেন, পাকিস্তানের বিরোধী দল পিটিআই নিষিদ্ধ ঘোষিত উৎস থেকে তহবিল পেয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কেন এসব অর্থ জব্দ করা হবে না—দলটিকে তার কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়ে গতকাল রুল জারি করে কমিশন।
রুলে আরও বলা হয়, ধনকুবের আরিফ নাকভি এবং আরও ৩৪ জন বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে তহবিল পায় দলটি। পিটিআই আটটি অ্যাকাউন্টের মালিকানা দেখিয়েছে এবং ১৩টি অ্যাকাউন্ট গোপন রেখেছে।
রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের পিটিআইয়ের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, বেশির ভাগ অর্থ প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছ থেকে এসেছে। তিনি বলেন, ‘পিএমএল-এন, জেইউআই এবং পিপিপি কেন প্রবাসী পাকিস্তানিদের শত্রু ঘোষণা করছে, তা আমি বুঝতে পারছি না।