অসহযোগ আন্দোলনের হুমকি ইমরান খানের

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানফাইল ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি দলীয় নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের আগামী সপ্তাহে সমাবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা প্রধান। রাজধানী ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এবং এতে প্রাণহানির ঘটনার কয়েক দিন পরই এমন হুমকি দিলেন ইমরান খান।

গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইমরান খান ১৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে দলের সমাবেশে যোগ দিতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পেশোয়ার দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী। এই প্রদেশে এখন পিটিআই ক্ষমতায়।

গত ২৫ নভেম্বর ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের সমাবেশে এবং গত বছরের ৯ মে দেশজুড়ে সহিংসতার ঘটনায় একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ইমরান খান। ইমরানের মুক্তি দাবিতে গত মাসে ওই সহিংসতায় ১২ পিটিআই সমর্থক নিহত হন। গত বছরের ওই সহিংসতায় নিহত হন ৯ জন। ইমরান খান বলেছেন, এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘এ দুই দাবি যদি পূরণ না হয়, তাহলে ১৪ ডিসেম্বর থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। আর এর যেকোনো পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে সরকার।’

তবে পাকিস্তান সরকারের দাবি, গত ২৫ নভেম্বর পিটিআইয়ের বিক্ষোভের প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর গত বছরের ৯ মে ইমরান খানের সমর্থকেরা সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিলেন।

নতুন মামলায় অভিযুক্ত ইমরান

এদিকে গত বছরের ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় একাধিক অভিযোগে গতকাল ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অতীতের মতো এবারও ইমরান খান এসব মামলার দায় স্বীকার করেননি।

২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় ৭২ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানকে। এরপর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। বেশ কিছু মামলায় সাজাও হয়েছে তাঁর। গত বছরের শেষ দিক থেকে তিনি কারাবন্দী।

পিটিআইয়ের দাবি, ইমরান খানের বিরুদ্ধে এসব মামলা সাজানো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায় সেনাবাহিনী। তাই সেনাবাহিনীর চাওয়া অনুযায়ী সাজানো মামলা দিয়ে ইমরান খানকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। তবে শুরু থেকেই ইমরান খান ও পিটিআইয়ের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ।