শুরুতেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ইমরানের দল
নির্বাচনব্যবস্থার ওপর অনেকেরই ‘অনাস্থা’ থাকার পরও গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলো বেশ ভিড় দেখা গেছে। কিন্তু রাত পেরিয়ে গেলেও ভোটের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দেশটির মানুষকে। ভোট গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর ফল ঘোষণা শুরু করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি)।
আজ শুক্রবার ভোরে তিনটি আসনে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল জানাতে শুরু করে ইসিপি। পিকে-৬ সোয়াত-৪ আসনে জিতেছেন ফজল হাকিম খান। পিকে-৭৬ পেশোয়ার-৫ আসনে সামি উল্লাহ এবং পিকে-৪ সোয়াত-২ আসনে আরি শাহ জয় পান। তিনজনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত প্রার্থী।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্স মোট ৪৭টি আসনে চূড়ান্ত ফলাফল জানিয়েছে। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ১৭টি আসনে জয় পেয়েছে। পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা ১৪টি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। বাকি ৪টি আসনে অন্য প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
ফলাফল দেখে ধারণা করা হচ্ছে, গত নির্বাচনে জয়ী দল পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে পিএমএল-এনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যদিও বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা নওয়াজকে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তানে ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনী।
ভোটের ফল নিয়ে সকালে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পিপিপি প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এক্সে এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘ফলাফল খুব ধীরগতিতে আসছে। তবে প্রাথমিক ফল বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। পিপিপি প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী, যাঁদের আমরা সমর্থন বা সংযুক্ত করেছি, তাঁরা বেশ ভালো করেছেন।’
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই গতকাল ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না–ও পেতে পারে।