পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান কুরেশিকে মুক্তির নির্দেশ

শাহ মাহমুদ কুরেশি
ফাইল ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তান তেহরিক-ই–ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে মুক্তি দিতে আজ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত জনশৃঙ্খলা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে ‘বেআইনি’ বলে অভিহিত করেছেন।

কুরেশিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে করা এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মিয়াংগুল হাসান আওরঙ্গজেব এ রায় দেন।

আদালত মুক্তির আদেশ দেওয়ার সময় পিটিআই নেতাকে একটি অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কুরেশির আইনজীবীরা জানান, পিটিআই নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ অঙ্গীকারনামা দেওয়া হবে।

পিটিআইয়ের প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর দলের কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই শীর্ষ নেতা কুরেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১১ মে সকালে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। এরপর পুলিশ জানিয়েছিল, সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় দাঙ্গা ও আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে তাঁর গ্রেপ্তারের আগে পিটিআইয়ের এই নেতা দলের কর্মীদের দেশের ‘সত্যিকার স্বাধীনতার’ স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন।

কুরেশি বলেন, ‘পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি প্রতিটি ফোরামে পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষা করেছি। আমি ৪০ বছর ধরে মাঠের রাজনীতিতে আছি।’ তাঁর দৃঢ়বিশ্বাস পিটিআইয়ের এই আন্দোলন তাদের লক্ষ্য অর্জন করবে।

শেহরিয়ার আফিদ্রির স্ত্রীকে মুক্তি দিতে নির্দেশ

ইসলামাবাদ হাইকোর্ট একই সঙ্গে পিটিআই নেতা শেহরিয়ার আফিদ্রির স্ত্রীকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁকেও জনশৃঙ্খলা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বিচারপতি আরবাব মুহাম্মদ তাহিরের আদালতে আজ শুনানির সময় তাঁকে হাজির করা হয়েছিল। আদালতের কার্যক্রম চলার সময় ইসলামাবাদ আইজি আদালতকে জানিয়েছিলেন, সন্দেহভাজন ও তাঁর স্ত্রী রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল হেডকোয়ার্টারে হামলায় জড়িত। বিচারক ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধানকে তাঁর আইনি দলের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনারকেও আদালতে তলব করা হয়েছিল। তিনি হাজির হয়ে বিচারককে বলেছিলেন, বিশেষ শাখা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আফ্রিদি ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ সত্ত্বেও পিটিআই নেতাদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন কমছে না। হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েও অনেক নেতা আবার গ্রেপ্তার হচ্ছেন।

এক দিন আগে দলের প্রধান ইমরান খান টুইট করে দলের নেতা-কর্মীদের ‘আটক ও তুলে নিয়ে যাওয়া’কে ‘সম্পূর্ণ বেআইনি’ বলে নিন্দা জানান।