কারা চত্বরে উন্মুক্ত আদালতে হবে ইমরান খানের বিচার
কারা চত্বরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মামলার শুনানি করার আদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়ে আদালত বলেছেন, মামলার শুনানি হবে উন্মুক্ত। ইমরান খানের পরিবারের সদস্যসহ যে কেউ এ শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
ইসলামাবাদের ওই বিশেষ আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, এর শুনানি করতে হবে আদিয়ালা কারাগারের অভ্যন্তরে। গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকেই রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত এ কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান।
এর আগে গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কারা প্রাঙ্গণে ইমরানের বিচার অবৈধ ঘোষণা করে তাঁকে আদালতে তোলার আদেশ দেন। তবে এ আদেশ সত্ত্বেও আজ মঙ্গলবার ইমরান খানকে আদালতে তোলা হয়নি। কারণ হিসেবে নিরাপত্তার শঙ্কা ও ইমরানের প্রাণনাশের হুমকির কথা বলেছে সরকার।
ইমরান খান ছাড়াও এ মামলার আসামি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। এক সংক্ষিপ্ত আদেশে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুয়াল হাসনাত জুলকারনাইন বলেন, অভিযুক্ত দুজনের পরিবারের পাঁচ সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ যে কেউ মামলার শুনানিতে থাকতে পারবেন।
আগামী শুক্রবার কারা প্রাঙ্গণে মামলার শুনানি শুরু হবে। সাইফার মামলা নামে পরিচিত রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের এ মামলায় এত দিন কারাগারের অভ্যন্তরে গোপনে শুনানি চলছিল। এভাবে গোপনে ইমরান খানের বিচারকে গত সপ্তাহে অবৈধ ঘোষণা করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
তবে কারা প্রাঙ্গণে বিচার করার এ আদেশে ‘হতাশ’ বলে জানিয়েছেন ইমরান খানের আইনজীবী।
ইমরান খানের আইনজীবী খালিদ ইউসুফ চৌধুরী বলেন, ‘অবশ্যই আমরা আদালতের এ আদেশে সন্তুষ্ট নই। জনসমক্ষে একটি উন্মুক্ত আদালতে শুনানির জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম আমরা। কিন্তু এরপরও আদালত কারা প্রাঙ্গণে মামলার শুনানি করার আদেশ দিলেন। আদালত শুনানিতে যে কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন বললেও কারা প্রাঙ্গণে মামলায় বাস্তবে সেটা হয় না।’
গত বছরের এপ্রিলে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান (৭১)। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়েছে। একটি মামলায় গত আগস্টে তিন বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। ইমরান খানের দাবি, সরকার ও সেনাবাহিনীর চক্রান্তে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলা হয়েছে, যাতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে না পারেন।