২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পদত্যাগ করব না, বিরোধীদের চমকে দেব: ইমরান খান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
ফাইল ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চাপে পড়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলার জন্য অধিবেশন শুরু হবে। অনাস্থা ভোটের আগে বুধবার ইমরান বলেছেন, কোনো পরিস্থিতিতেই তিনি পদত্যাগ করবেন না। বিরোধীদের চমকে দেবেন বলেও জানান তিনি। খবর জিয়ো টিভির।

ইসলামাবাদে বুধবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খান বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো তাদের হাতে থাকা সব কার্ড খেলে ফেলেছেন। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হবে না। আমার ট্রাম্প কার্ড হলো, আমি এখনো টেবিলে আমার কোনো কার্ডই রাখিনি।’

ইমরান আরও বলেছেন, ‘পরিস্থিতি যা-ই হোক, আমি পদত্যাগ করব না। আমি শেষ বল পর্যন্ত খেলব। আমি তাদের (অনাস্থা ভোটের) এক দিন আগে চমকে দেব।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য ২৫ মার্চ শুক্রবার পার্লামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন আহ্বান করেছেন স্পিকার আসাদ কায়সার। দেশটির পার্লামেন্ট, অর্থাৎ জাতীয় পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী অধিবেশন শুরু হওয়ার তিন দিন পর থেকে সাত দিনের মধ্যে ভোটের আয়োজন করতে হবে।
ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধীদের এক করেছে পাকিস্তানের প্রধান দুই বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। ‘দুর্নীতির’ রাজনীতির আশ্রয় নেওয়ার জন্য পিএমএল-এন ও পিপিপির নেতাদের নিন্দা জানিয়ে তাঁদের সমালোচনা করেন ইমরান খান।

ইমরান খান বলেছেন, তিনি কোনো পরিস্থিতিতেই দুর্নীতির সঙ্গে আপস করবেন না। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি ঘরে বসে থাকব, এমন মিথ্যা ধারণার মধ্যে কারও থাকা উচিত নয়। আমি পদত্যাগ করব না, আর কেনই-বা আমি পদত্যাগ করতে যাব। চোরদের চাপের কারণে আমি কি পদত্যাগ করব?’

ইমরান খান বলেন, ‘আমার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলেও আমি আমার নীতির সঙ্গে আপস করব না। জনগণ ও আল্লাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না।’

রয়টার্স বলছে, ২০১৮ সালে ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবারের অনাস্থা প্রস্তাবটিকে তাঁর জন্য সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশে আবার রাজনৈতিক অস্থিরতার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।