যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিদ্ধ ফোর্বস সাময়িকীর অনলাইন সংস্করণ ‘রিয়েল টাইম’ বা তাৎক্ষণিক বিলিয়নিয়ারের তালিকা প্রকাশ করে। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটার তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী হলেন যথাক্রমে ইলন মাস্ক, ল্যারি এলিসন, জেফ বেজোস, মার্ক জাকারবার্গ, বার্নার্ড আরনল্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি, ওয়ারেন বাফেট, ল্যারি পেজ, সের্গেই ব্রিন, জেনসেন হুয়াং ও আমানসিও ওরতেগা। তাঁদের শিক্ষাগত তথ্য নিয়ে পাঠকের মধ্যে আগ্রহ আছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর কে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এ-সংক্রান্ত তথ্য ফোর্বস, প্রফিট ম্যাগাজিন ও ব্রিটানিকার আলোকে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তিনি এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। মাস্ক বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টেসলাসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩১৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর পড়েছেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পদার্থবিদ্যা ও অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় পড়া ছেড়ে দেন।
ল্যারি এলিসন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী। এই মার্কিন ধনকুবের সফটওয়্যার জায়ান্ট ওরাকল করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২৩৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আরবানা-চ্যাম্পেইনে দুই বছর পড়েছেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে ভর্তি হন। কিন্তু এখানেও পড়া শেষ করেননি।
মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোস বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী। তিনি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন। তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি অর্জন করেন।
মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী। তিনি ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা। মার্কিন ধনকুবের জাকারবার্গ ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার বর্তমান সিইও। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৯৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পড়াশোনা শেষ করেননি।
বার্নার্ড আরনল্ট ফরাসি ধনকুবের। ফরাসি বিলাসপণ্যের ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের সিইও তিনি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৫৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি ফ্রান্সের ইকোলে পলিটেকনিক থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। বহুজাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের প্রধান তিনি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৪৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা লিংকন থেকে স্নাতক করেছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন।
মার্কিন ধনকুবের ল্যারি পেজ গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি এখন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের পর্ষদ সদস্য। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৩৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন। আর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছেন স্নাতকোত্তর।
সের্গেই ব্রিন মার্কিন ধনকুবের। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনি এখন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের পর্ষদ সদস্য। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৩৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড, কলেজ পার্ক থেকে স্নাতক করেছেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি।
জেনসেন হুয়াংয়ের জন্ম তাইওয়ানে। ছোটবেলায় তিনি পরিবারের সঙ্গে থাইল্যান্ডে চলে যান। পরে তাঁর পরিবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেয়। মার্কিন নাগরিক জেনসেন চিপ কোম্পানি এনভিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি কোম্পানিটির সিইও, প্রেসিডেন্ট। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১২৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেছেন। স্নাতকোত্তর করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
আমানসিও ওরতেগা স্প্যানিশ ধনকুবের। ফ্যাশন গ্রুপ ইন্ডিটেক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১২২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্কুল ত্যাগ করেন।