সিরিয়ায় সামরিক বাসে বিস্ফোরণের জবাবে শেল হামলা, নিহত ২৫
সিরিয়ায় সেনাসদস্যদের বহনকারী একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে দামেস্কের একটি সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বাসটিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আবাসিক এলাকায় শেল হামলা চালিয়েছে সিরীয় সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ১১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বুধবার ভোরে সেনাসদস্যদের বহনকারী একটি বাস হাফিজ আল–আসাদ সেতু অতিক্রম করছিল। হঠাৎই রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়। সেনাবাহিনীর প্রকৌশল ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে তৃতীয় আরেকটি বিস্ফোরক ডিভাইস উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করেছে। একে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে উল্লেখ করেছে তারা।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিধ্বস্ত বাসটির ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে উদ্ধারকারীরা বাস থেকে মানুষের দেহাবশেষ সরাচ্ছেন। চ্যানেলটির প্রতিবদেন বলা হয়, এ বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
বুধবার বাসে হামলার জবাবে কিছুক্ষণ পরই বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আরিহা শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে শেল হামলা চালায় সেনাবাহিনী। আরিহা শহরটির অবস্থান ইদলিব প্রদেশে। প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, এ হামলায় কমপক্ষে ১১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীও রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের অনুগত বাহিনী দামেস্কের বিদ্রোহী ঘাঁটিগুলো নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর শহরটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা বিরল। রাশিয়ার সেনা ও ইরানের শিয়া মিলিশিয়াদের সহযোগিতায় আসাদ এখন দেশের বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন। চলতি বছর সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সেনা যান লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। মরু এলাকায় এখনো সক্রিয় থাকা ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের এসব হামলার জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় এক দশক আগে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ মানুষ নিহত হয়েছে।