সিরিয়ায় ড্রোন হামলায় তিউনিসিয়ার শীর্ষ জঙ্গি নিহত
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলায় তিউনিসিয়ার একজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এ ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিরীয় যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামের সংস্থাটি বলছে, বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইদলিব প্রদেশে সোমবার এ ড্রোন হামলা চালানো হয়। হামলায় সাইয়াফ আল-তুনসি নামের ওই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, হুররাস আল-দীন নামের একটি সংগঠনের নেতা সাইয়াফ আল-তুনসি। ইদলিবে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে তিনি নিহত হন।
সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার অনুগত অনেকগুলো সংগঠন রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে তুলনামূলক ছোট কিন্তু খুবই প্রভাবশালী একটি সংগঠন হুররাস আল-দীন। সংগঠনটি সিরিয়ায় হায়াত তাহরির আল-শামসের প্রতিদ্বন্দ্বী। আল-শামস হচ্ছে জঙ্গি মতাদর্শের বেশ কয়েকটি উপগোষ্ঠীর একটি জোট। এই জোটের বেশির ভাগ অনুসারীই আল-কায়েদার সাবেক সিরীয় শাখা জাবাত আল-নুসরার সাবেক সদস্য। একটা সময়ে হুররাস আল-দীন ও হায়াত তাহরির আল-শামসের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিল।
সাইয়াফ আল-তুনসিও আল-নুসরার সাবেক নেতা। ২০১৫ সালে ইদলিব প্রদেশের দ্রুজ এলাকার ২০ জনকে হত্যায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ওঠার পর তিনি আল-নুসরায় নিজের অবস্থান হারান। সাইয়াফ তিউনিসিয়ার নাগরিক। যে ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন, সেটির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে জঙ্গিবাদ নির্মূলে দেশটির নেতৃত্বাধীন যে জোট রয়েছে, তারাও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
তবে অবজারভেটরির নেতা রামি আবদেল রহমান বলেছেন, সাইয়াফ আল-তুনসির গাড়িটা ঘায়েল হয়েছে ‘নিনজা’ আর৯এক্স নামে পরিচিত এক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় বিস্ফোরকের পরিবর্তে অনেকগুলো ব্লেড ব্যবহার করা হয়, যা ‘সমান্তরাল ক্ষতি’ কমিয়ে আনে। উত্তর সিরিয়ায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় এর আগেও আর৯এক্স ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।