সিরিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ
এক দশক ধরে চলমান সিরিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের যৌথ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তুরস্ক, রাশিয়া ও কাতার। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট কাভুসোলগু গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান। দোহায় রাশিয়া ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি বলেন, ‘আমরা একটি নতুন ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ প্রক্রিয়া চালু করেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো, কীভাবে আমরা সিরিয়ায় স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়াসে অবদান রাখতে পারি, তা আলোচনা করা।’
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের বৈঠকে সামরিক সমাধানকে সংঘাত নিরসনের একমাত্র উপায় বলে মনে করেননি। তাঁরা জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজনৈতিক সমঝোতার ওপর জোর দেন। সিরিয়ায় এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বৈঠকের পর ওই তিন মন্ত্রীর যৌথ বিবৃতিতে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করা হয়।
এক দশক ধরে চলা গণহত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ গোটা সিরিয়াকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছে। কাতার ও তুরস্ক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে টেনে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তারা বিদ্রোহী সেনাদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে। অন্যদিকে মস্কো সামরিক সহায়তা প্রদান করেছিল, যা আল-আসাদকে দেশের বেশির ভাগ অংশে সহায়তা করেছিল।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, তিন দেশ মিলে নতুন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তা ২০১৭ সাল থেকে সিরিয়ায় সংঘর্ষ থামাতে তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরান গৃহীত পদক্ষেপের বিকল্প কিছু নয়। এ ক্ষেত্রে নতুন করে কাতারকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেন, মন্ত্রীরা সিরিয়াজুড়ে যাতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানো যায়, তার পদ্ধতিগত আলোচনা করেছেন। সিরিয়ানদের দুর্দশা কমিয়ে আনার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজন।