নিউইয়র্ক টাইমস–এর প্রতিবেদন
পেগাসাস হয়ে ওঠে ইসরায়েলের কূটনীতির অস্ত্র
ফোনে আড়ি পাতার ব্যবস্থা বিক্রি করে কীভাবে ইসরায়েল বৈরী দেশগুলোকে মিত্র বানিয়েছে, তা উঠে এসেছে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।
মুঠোফোনে নজরদারির ব্যবস্থা পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ইসরায়েল কীভাবে কূটনৈতিক দিক দিয়ে লাভবান হয়েছে, তা প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস–এর এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এতে উল্লেখ করা হয় যে যুক্তরাষ্ট্রও এই সাইবার অস্ত্র কিনেছিল। তবে তারা এখন তা নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।
নিউইয়র্ক টাইমস গতকাল শনিবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৯ সালের জুনে ইসরায়েলের তিনজন কম্পিউটার প্রকৌশলী নিউজার্সিতে এফবিআইয়ের ব্যবহৃত একটি ভবনে আসেন। তাঁরা কম্পিউটার সার্ভারের সরঞ্জাম বের করে সেগুলো একটি গোপন কক্ষের তাকে (র্যাক) সাজিয়ে রাখেন। এই প্রকৌশলীরা যখন সরঞ্জামগুলো নিয়ে কাজ করছিলেন, তখন তাঁরা দফায় দফায় ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের উপকণ্ঠ হের্জলিয়ায় এনএসও গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। এই এনএসও গ্রুপই মুঠোফোনে আড়ি পাতার কুখ্যাত স্পাইওয়্যার পেগাসাসের নির্মাতা। প্রায় এক দশক ধরে ইসরায়েলি কোম্পানিটি দেশে দেশে নাগরিকদের ওপর নজরদারির এই অস্ত্র বিক্রি করে আসছে। আর এর মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক মিত্র তৈরি করেছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল।
স্পাইওয়্যার বিক্রির মাধ্যমে কীভাবে একই সঙ্গে কোম্পানির ব্যবসা ও রাষ্ট্রের লাভ হয়েছে, তা নিউইয়র্ক টাইমস–এর এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে। এক বছরব্যাপী এই অনুসন্ধানে ডজনখানেক দেশের সরকারি কর্মকর্তা, গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তাব্যক্তি, সাইবার অস্ত্র বিশেষজ্ঞ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নির্বাহীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। দেশে দেশে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রির ক্ষেত্রে ইসরায়েলের কূটনীতি কীভাবে প্রভাব রেখেছে, তার বিশদ এতে উঠে এসেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার পাওয়ার পরে জাতিসংঘে ভোটাভুটিতে মেক্সিকো ও পানামা তাদের অবস্থান বদলেছে। আরব দেশগুলোর মধ্যে ইরানবিরোধী ইসরায়েলি তৎপরতায় সমর্থন তৈরি এবং ২০২০ সালের আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের ক্ষেত্রে পেগাসাস অদৃশ্য কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বৈরী আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে। আবার পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও ভারতের সরকারের কাছেও এই অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নিজেদের জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কূটনীতির জায়গা থেকে অস্ত্র বিক্রি দীর্ঘদিনের একটি চর্চা হয়ে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে নিয়োজিত পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা বছরের পর বছর অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর দূতের মতো ভূমিকা পালন করে এসেছেন। ২০১০ সালে উইকিলিকসের ফাঁস করা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নথিতে দেখা গেছে, যখন আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বিভিন্ন মিত্রদেশের রাজধানীতে ওই সব দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সে সময় প্রায় ক্ষেত্রে অস্ত্র বিক্রির চুক্তির ঘোষণা এসেছে।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কাদের হাতে যাবে, আর কাদের দেওয়া যাবে না, তার অনুমোদন দেয় ইসরায়েল সরকার। শক্তিশালী এই স্পাইওয়্যার যেন নিপীড়কের হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্যই এ নিয়ম করা বলে বলা হয়ে থাকে। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর কাছে আকর্ষণীয় এই সাইবার অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতার ফায়দা লুটেছে ইসরায়েল সরকার।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, পরমাণু বোমার পর সাইবার অস্ত্রই কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্নির্ধারণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। আর এর সদ্ব্যবহার করে এসেছে ইসরায়েল, যা বাকি বিশ্ব এখন বুঝতে শুরু করেছে। ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে এসেছে এনএসওর হাত ধরে। পেগাসাস স্পাইওয়্যার সরবরাহকারী এই প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের কার্যালয়ে ৭০০ জনের বেশি কর্মী রয়েছে। তেল আবিবের কাছের হার্জলিয়ায় রয়েছে তাদের প্রধান কার্যালয়। সেখানে অ্যাপল ও অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ফাঁক গলে নজরদারির পথ বের করতে রয়েছে স্বতন্ত্র ল্যাব। প্রতিষ্ঠানটির হ্যাকাররা সেখানে বিভিন্ন র্যাকভর্তি স্মার্টফোনে অনবরত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যান। এনএসওর গবেষক দলের প্রায় সব সদস্যই ইসরায়েলের গোয়ন্দা সংস্থার সাবেক কর্মী। তাঁদের অধিকাংশই ইসরায়েলি মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ডাইরেক্টরেটে (এএমএএন) কাজ করে এসেছেন।
মেক্সিকোর অবস্থান বদল
এনএসওর প্রকৌশলীরা ২০১১ সালে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বড় সংখ্যায় গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি শেষ করেন। শক্তিশালী এই নতুন অস্ত্র দিয়ে এনএসও পশ্চিমা বিশ্বে দ্রুতই ভালো গ্রাহক পাওয়ার আশা করেছিল। সে সময় অনেক দেশই, বিশেষত ইউরোপের দেশগুলো বিদেশি গোয়েন্দা অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে ভোগে। তবে দ্রুতই সেই সমস্যা কেটে যায় এনএসওর। মেক্সিকোকে পেয়ে যায় তারা।
মাদক চোরাকারবারিদের দমনে হিমশিম খাচ্ছিল মেক্সিকো সরকার। তাদের ধরতে এনক্রিপটেড ব্ল্যাকবেরি মেসেজিং সেবা হ্যাক করার উপায় খুঁজছিল দেশটি। সে সময় আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) তাদের একটা উপায়ের খোঁজ দিলেও তাতে পূর্ণ প্রবেশাধিকার দিচ্ছিল না। তখন ইসরায়েলের এনএসওর কর্তাব্যক্তিরা মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফিলিপে ক্যালডেরনের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এরপর নজরদারির এই অস্ত্র চলে যায় মেক্সিকো সরকারের হাতে।
এনএসওর সঙ্গে চুক্তি ইসরায়েলের বিষয়ে মেক্সিকোর পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছিল কি না, তার কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। তবে এর পরে দেশটির বিষয়ে মেক্সিকো কর্তৃপক্ষের অবস্থানের বদল ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘ সম্মেলনে ইসরায়েলের বিপক্ষে ভোট দিয়ে আসা মেক্সিকো ধীরে ধীরে অবস্থান বদলে ‘না’ ভোট থেকে ভোটদানে বিরত থাকার অবস্থানে চলে যায়। এরপর ২০১৬ সালে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো ইসরায়েল সফরে যান, যা ছিল ২০০০ সালের পর মেক্সিকোর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম ইসরায়েল সফর। পরের বছর প্রথম কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেক্সিকো সফর করেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর পরপরই জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে উত্থাপিত বেশ কয়েকটি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকার ঘোষণা দেয় মেক্সিকো।
বন্ধু হয়ে গেল পানামা
গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে আমেরিকানদের অনীহা এনএসও এবং ইসরায়েলের জন্য আরেকটি সুযোগ নিয়ে আসে। উইকিলিকসের ফাঁস করা নথি অনুযায়ী, ২০০৯ সালে পানামার নতুন প্রেসিডেন্ট রিকার্ডো মার্তিনেল্লি ‘নিরাপত্তা হুমকি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের’ ওপর নজরদারির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সরঞ্জাম চান। তাতে সাড়া দেননি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। এরপর এই কাজের জন্য অন্য পথ খুঁজতে থাকেন মার্তিনেল্লি। ২০১০ সালে জাতিসংঘে ইসরায়েলের পক্ষে মাত্র যে ছয়টি দেশ অবস্থান নিয়েছিল, তার একটি ছিল পানামা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর যে যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছিল, সে বিষয়ে প্রস্তাব উঠলে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছিল পানামা।
জাতিসংঘে ওই ভোটাভুটির এক সপ্তাহ পরে তেল আবিবে যান মার্তিনেল্লি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর লাতিন আমেরিকার বাইরে কোনো দেশে ওটাই ছিল তাঁর প্রথম সফর। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট শিমোন পেরেজকে তিনি বললেন, পানামা সব সময় ইসরায়েলের পাশে থাকবে। পানামার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গী মন্ত্রী, ব্যবসায়ী নেতা এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতারা ইসরায়েলে শিখতে এসেছেন।
মার্তিনেল্লি ওই সফরে তাঁর কাঙ্ক্ষিত নজরদারির অস্ত্র পাওয়ার পথ তৈরি করেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে ইসরায়েলি কোম্পানির কাছ থেকে সামরিক ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া একজনের তথ্য অনুযায়ী, মার্তিনেল্লি বিশেষ করে ব্ল্যাকবেরির বিবিএম মেসেজ হ্যাক করার প্রযুক্তি খুঁজছিলেন। সে সময় পানামায় এটার ব্যাপক চল ছিল। এর দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েল তাঁকে এখন পর্যন্ত বিশ্বে তৈরি হওয়া সবচেয়ে আধুনিক নজরদারির অস্ত্র দিতে পেরেছিল।
২০১২ সালে পানামা সিটিতে এনএসও সিস্টেম বসানোর পর মার্তিনেল্লির সরকার অনেক বার জাতিসংঘে ইসরায়েলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এমনকি ফিলিস্তিনের মর্যাদা উন্নীতের বিষয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেও ভোট দিয়েছিল তারা। বিশ্বের ১৩৮টি দেশ ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও ইসরায়েল, পানামা ও অপর সাতটি দেশ বিরুদ্ধে ভোট দেয়।
বৈরী আরবে মিত্র পেল ইসরায়েল
পেগাসাস স্পাইওয়্যার দিয়ে ইসরায়েলের কূটনীতি সবচেয়ে ফলপ্রসূ হয়েছে বৈরী আরব প্রতিবেশী দেশগুলোতে মৈত্রী তৈরিতে। ইসরায়েল প্রথম এই সাইবার অস্ত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্রির অনুমোদন দেয়। ২০১০ সালে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টরা দুবাইয়ের একটি হোটেলে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে বিষপ্রয়োগ করেন। এর জের ধরে আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে সমঝোতা আলোচনার একপর্যায়ে ২০১৩ সালে তাঁকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন তিনি তাতে রাজি হয়ে যান।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার তখন দেশের মধ্যে ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নজরদারির এই অস্ত্র ব্যবহারে কোনো দ্বিধা করেনি। আমিরাত সরকারের সমালোচক আহমেদ মনসুরের ফোনে এটা ব্যবহার করে আড়ি পাতা হয়েছিল। কানাডাভিত্তিক গবেষণাগার সিটিজেন ল্যাব এসব তথ্য প্রকাশ করলে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন আহমেদ মনসুর।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার হাতে যাওয়ার পর আমিরাত ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এর মধ্য দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরায়েলের বৈরিতা কমতে থাকে, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে তৈরি হয় নতুন মেরুকরণের পথ। ইসরায়েলের সঙ্গে পারস্য উপসাগরীয় সুন্নি মুসলিম দেশগুলোও ইরানের বিরুদ্ধে সরব হয়। কয়েক দশক আগেও যখন আরবের বাদশাহরা ইসরায়েল থেকে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত রাখার ঘোষণা দেন, তখনো এ ধরনের সুর শোনা যায়নি। নতুন প্রজন্মের এই আরব নেতাদের পররাষ্ট্রনীতিতে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আন্দোলনের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে শিয়া ও সুন্নি বিভেদ। তাদের কাছে এখন ইরানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হয়ে উঠেছে ইসরায়েল।
নীতির এই বদলের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ২০১৭ সালে ইসরায়েল সৌদি আরবের কাছে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রির অনুমোদন দেয়। এমন একটি নিরাপত্তা সংস্থার কাছে এটা দেওয়া হয়, যেটি দেখভালের দায়িত্ব সরাসরি মোহাম্মদ বিন সালমানের হাতে রয়েছে। সৌদি আরবকে খুশি রাখাটা ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়েই বেশ কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্য ছিল তাঁর। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে নেতানিয়াহু, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আব্রাহাম চুক্তিতে সই করেন। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী সবাই একে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার নবযুগ অভিহিত করেছিলেন।
সংক্ষেপিত অনুবাদ করেছেন আজিজ হাসান