আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আগে লেবাননে কার্যকর সরকার চায় ইইউ
লেবাননে দ্বিতীয় ধাপে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আগে সেখানে একটি কার্যকর সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল শনিবার ইইউর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার ইয়ানেস লেনারচিস এই আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৪ আগস্ট লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দরে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১৯০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬ হাজারের বেশি মানুষ। এ ছাড়া বিস্ফোরণের কারণে প্রায় তিন লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। আর এক থেকে দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এই বিস্ফোরণের পর শনিবার লেবানন সফরে গেছেন ইয়ানেস লেনারচিস। তিনি বলেন, এই বিস্ফোরণের পর ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে ইইউ। পরবর্তী যে সাহায্য দেওয়া হবে, তা ব্যয় করা হবে ভৌত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে। কিন্তু সেই অর্থ একটি পুনর্গঠিত সরকারের হাতে দিতে চান তাঁরা। কারণ, এরপর আবারও আর্থিক বিপর্যয় ও সংকট দেখা দেবে, এমন ব্যবস্থাকে সমর্থন করবে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
ওই বিস্ফোরণের পর লেবানন সরকার পদত্যাগ করেছে। কিন্তু এই বিস্ফোরণের ঘটনায় যে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছিল তাতে সাড়া দেয়নি লেবাননের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নিজেরাই এই ঘটনার তদন্ত করবে।
লেবানন পরিস্থিতি নিয়ে ইয়ানেস লেনারচিস বলেন, ‘দেশটিকে সঠিক পথে নেবে এবং দেশের জনগণের যে আত্মবিশ্বাস রয়েছে, তা কাজ লাগাবে, এমন একটি কার্যকর সরকার আমাদের প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘আমি শুধু অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের কথা বলছি না। শাসনব্যবস্থার পুনর্গঠনের কথাও বলছি।’
এ সময় লেবাননের হিজবুল্লাহ নিয়েও কথা বলেছেন ইয়ানেস লেনারচিস। তিনি বলেন, ‘এটা লেবাননের বাস্তবতা। আমরা দেখতে চাই, লেবাননের সব ধরনের রাজনীতি ও মতাদর্শের লোক ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই পুনর্গঠনে কাজ করছেন।’
যদিও হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সংগঠনটির ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে দেশটি। আবার এই শিয়াপন্থীদের পার্লামেন্টে প্রতিনিধি রয়েছেন এবং দেশটিতে তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থানও বেশ শক্তিশালী। ইয়ানেস লেনারচিস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, তাঁরা এই পুনর্গঠন কার্যক্রমে অংশ নেবেন।’