ইসরায়েলের দিকে ছোড়া কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র: পেন্টাগন
ইরান যখন ইসরায়েলের ভূখণ্ডে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছিল, তখন ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সক্রিয়ভাবে’ সহায়তা দিয়ে যাবে ওয়াশিংটন।
বাইডেন জানান, হামলার ওই সময় তিনি ‘সিচুয়েশন রুমে’ কাটিয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তাজনিত যেকোনো গুরুতর সংকটময় পরিস্থিতি হোয়াইট হাউসের এ কক্ষ থেকে সামাল দেওয়া হয়।
ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এর বেশির ভাগই ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হামলার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, ইরানের নাগরিক ও স্বার্থরক্ষার থেকে এটি একটি ‘অবধারিত’ প্রতিক্রিয়া।
গতকাল মঙ্গলবার পেন্টাগনের ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে ছোড়া হয়েছিল।
তবে তাদের হামলায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে আঘাত করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি প্যাট্রিক রাইডার। মনে করা হচ্ছে, এ বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নির্ধারণ করা হয়নি।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এমন এক সময় এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জো বাইডেন উদ্যোগী হয়েছিলেন; যদিও বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করেনি।
এর আগে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জ্যাক সুলিভান বলেন, ইরানের হামলা সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার বড় ঘটনা। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে এ হামলার পরিণতি গুরুতর হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একত্রে কাজ করব।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এ অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্য) উত্তেজনা কমাতে প্রতিরোধ ও কূটনীতি—উভয় কৌশল ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।