চীন সফরে যাচ্ছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসিসহ আরব নেতারা
মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও তিউনিসিয়ার নেতারা চলতি সপ্তাহেই চীন সফরে যাচ্ছেন। আজ সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং এক বিবৃতিতে বলেন, এই নেতারা ২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত চীন সফর করবেন। তাঁরা ‘চায়না-আরব স্টেটস কো-অপারেশন ফোরামে’-এর ১০ম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
আরব নেতাদের মধ্যে আছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চাইছে চীন। এমন প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ে আরব নেতাদের এই সম্মিলন হতে যাচ্ছে।
চীন ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তারা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সমর্থনকারী।
চলমান সংঘাত নিরসনের লক্ষ্য একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আহ্বান করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
গত নভেম্বরে বেইজিং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, সৌদি আরব ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করেছিল। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান সংঘাত বন্ধে এই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে এএফপির হিসাব অনুসারে, এই হামলায় ১ হাজার ১৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। সে সময় ২৫২ জনকে জিম্মি করা হয়। পরে নভেম্বরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির আওতায় তাঁদের অনেকে মুক্তি পান। ইসরায়েলের দাবি, প্রায় ১২১ জন জিম্মিকে গাজা উপত্যকায় রেখে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, এ হামলায় প্রায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।