ইসরায়েলের নয়টি সামরিক স্থানে হিজবুল্লাহর হামলা
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বলছে, তারা গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নয়টি সামরিক স্থানে হামলা চালিয়েছে। হামলায় রকেট ও সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করা হয়। একে একটি ‘সমন্বিত আক্রমণ’ বলছে হিজবুল্লাহ।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় ইরানপন্থী হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হন। এর বদলা হিসেবে গতকাল এই হামলা চালাল হিজবুল্লাহ।
আগের দিন বুধবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ ২০০টির বেশি রকেট ছোড়ে। পাল্টা হিসেবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দক্ষিণ লেবাননের একটি এলাকায় হামলা চালায়।
একটি নিরাপত্তা সূত্রের ভাষ্য, ফিলিস্তিনের গাজায় গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে গতকাল সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।
গাজা যুদ্ধের জেরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে। উভয় পক্ষ বলছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
এদিকে আজ শুক্রবার লেবাননের বন্দর নগরী টাইরের পূর্ব দিকের একটি ভবনে হামলা হয়েছে। হামলায় একজন বেসামরিক নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেক শিশু আছে। লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এ ঘটনার আগে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলে, তারা ইসরায়েলের ছয়টি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে কাতিউশা ও ফালাক রকেট ছুড়েছে।
হিজবুল্লাহর আল-মানার টেলিভিশন ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে ১০০টির বেশি রকেট ছোড়ার খবর দিয়েছে।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারা ইসরায়েলের উত্তর কমান্ডের সদর দপ্তর, একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর ও একটি সামরিক ব্যারাকে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, একযোগে কমপক্ষে ৩০টি ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালানো হয়। আট মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা এটি।
আকাশপথে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের শহরগুলোতে গতকাল সতর্কসংকেত বাজানোর শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, গতকাল বিকেলে লেবানন থেকে প্রায় ৪০টি রকেট ছোড়া হয়।