গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়াল

ইসরায়েলের বোমা হামলা পর ভবনের ওপর দিয়ে কালো ধোঁয়া উড়ছে। গাজার খান ইউনিসেফাইল ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন সাড়ে ৯৭ হাজারের বেশি। গতকাল বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। এদিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩০ জন। এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় ৪২ হাজার ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৯৭ হাজার ৭২০ জন।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী এলাকায় নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ৩০০ সেনাসহ প্রায় ১ হাজার ১৪০ জনকে হত্যা করেন হামাসের যোদ্ধারা। গাজায় বন্দী করে নিয়ে আসেন প্রায় ২৪০ জনকে।

হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক বছরে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪১ হাজার ৬১৫ জন। জনসংখ্যার হিসাবে গাজার প্রতি ৫৫ জনের একজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৫৬। গত দুই দশকের মধ্যে কোনো সংঘাতে এক বছরে শিশু নিহতের এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। ১৭ হাজারের বেশি শিশু মা-বাবার একজনকে বা উভয়জনকে হারিয়েছে।

নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য দুই উত্তরসূরিকে ‘হত্যা’

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য দুই উত্তরসূরিকেও হত্যার দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গত মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে তাঁর একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। এতে তিনি বলেন, তাঁরা হিজবুল্লাহর হাজারো সদস্যকে হত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে নাসরুল্লাহ আছেন। আছেন তাঁর উত্তরসূরি। এমনকি আছেন এই উত্তরসূরিরও উত্তরসূরি। নেতানিয়াহু অবশ্য নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া তিনি উত্তরসূরির উত্তরসূরি—এ কথার মাধ্যমে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হিজবুল্লাহর নেতা হাশেম সাফিউদ্দিন খুব সম্ভবত নিহত হয়েছেন।

এদিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে পড়া ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ের কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাঁরা ইসরায়েলি বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার দুটি চেষ্টা প্রতিহত করার দাবি করেছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কিরাইয়া শোমনা শহরে হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় দুই ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের একজন নারী।