গাজার আল শিফা হাসপাতালে আরেকটি গণকবর, ৪৯ মরদেহ উদ্ধার
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের শিকার হওয়া আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নতুন করে আরও একটি গণকবর শনাক্ত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা গতকাল বুধবার সেখান থেকে ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বারবারই আল শিফা হাসপাতালসহ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হাসপাতালগুলোকে নিজেদের পরিচালনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। তবে হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আল শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান মোতাসসেম সালাহ সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের ভেতরে তৃতীয় গণকবর পাওয়া গেছে।
গাজা উপত্যকায় হামাস শাসিত সরকারের গণমাধ্যম শাখা আলাদা এক বিবৃতিতে বলেছে, আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ওই স্থানটি থেকে কমপক্ষে ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ইসরায়েল হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। তবে বুধবার পাওয়া মরদেহগুলো নিয়ে বিবৃতিতে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে ধারণ করা এএফপির ফুটেজে দেখা গেছে, কমপক্ষে ১২টি মরদেহ কালো রঙের প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে।
মার্চে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দুই সপ্তাহের লড়াইয়ে আল শিফা হাসপাতালটি বিধ্বস্ত হয়। হাসপাতালের ধ্বংসাবশেষের সামনে দাঁড়িয়ে সালাহ বলেন, কয়েকটি মরদেহ পচে গেছে।
গত মাসে এ একই হাসপাতাল প্রাঙ্গণের দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৩০টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। এ পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের ৭টি গণকবর থেকে ৫২০ টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।