বাড়ছে ইরানের হামলার ভয়, শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেতানিয়াহু
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরান কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার পর থেকে প্রতিশোধের হুমকি দিচ্ছে তেহরান। যেকোনো সময় পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে এ প্রতিশোধ নেওয়া হতে পারে—এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে যুদ্ধবিমান থেকে ওই হামলা চালানো হয়। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কনস্যুলেটটি। নিহত হন ইরানের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা। এরপর দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, এই কর্মকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
খামেনির হুমকির পর ইরান ও ইসরায়েল—দুই দেশ ভ্রমণে নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েলের জনগণও। তবে সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে তাঁদের প্রতি কোনো নির্দেশনা জারি করেনি ইসরায়েল সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও বিরোধী নেতা বেনি গান্তসের মতো শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেতানিয়াহু।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, শিগগিরই বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে ইরান। এ হামলায় শতাধিক ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাও রয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাগুলোতে এ হামলা হতে পারে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য ‘চ্যালেঞ্জের’ হবে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, ইরানের এই হুমকি ‘বিশ্বাসযোগ্য’। আর যুক্তরাষ্ট্র ‘যথাসম্ভব তা পর্যবেক্ষণ করছে’। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ইরান হামলা চালালে ইসরায়েলকে ‘লৌহবর্মের’ মতো সমর্থন দিয়ে যাবেন তাঁরা।
এদিকে গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরান–সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়াচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির উত্তর সীমান্ত অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইরাক ও ইয়েমেনের ইরানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠীও ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আর লোহিত সাগরে ইসরায়েল–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।