সৌদি আরবের বাদশাহ অসুস্থ

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদছবি: রয়টার্স

সৌদি বাদশাহ সালমান জ্বর ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে তাঁর স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এর আগে গত এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেদ্দার আল-সালামের একটি ক্লিনিকে বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্যের কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান জ্বর ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা তাঁর স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করবেন। এর মাধ্যমে তিনি সুস্থ্ আছেন কি না, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ২০১৫ সালে সৌদি আরবের সিংহাসনে বসেন। এর দুই বছর পর ২০১৭ সালের জুনে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (৩৮)। মূলত এর পর থেকেই তিনি সৌদির কার্যত নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বাদশাহর শারীরিক অবস্থার খবর সামনে আনার ঘটনা সচরাচর ঘটে না। কিন্তু গত এপ্রিলে রয়েল কোর্ট জানায়, নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার জন্য বাদশাহকে কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও এর পরদিনই হাসপাতাল ছাড়েন তিনি।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে বাদশাহ সালমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় তাঁর কোলোনস্কপি করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এক সপ্তাহের বেশি সময় হাসপাতালে ছিলেন তিনি।

২০২২ সালের মার্চেও সালমানকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ। ওই সময় কিছু সফল পরীক্ষা করা হয় এবং হৃদ্‌যন্ত্রের পেসমেকারের ব্যাটারি পরিবর্তন করা হয়। ২০২০ সালে পিত্তথলি অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়।

সালমান সৌদি বাদশাহ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে কয়েক দশক ধরে রিয়াদের গভর্নর পদে ছিলেন। তেলসমৃদ্ধ আরব দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সালমানের শাসনামলে সৌদি আরবে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তিনি বেশ কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি নিয়েছেন। এসবের বেশির ভাগেই তাঁর ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পরামর্শে করা হয়। সালমান তেলের ওপর সৌদি আরবের নির্ভরশীলতা কমাতে অর্থনীতির অন্য খাতে নজর দেওয়ার চেষ্টা করছেন।