ফিলিস্তিনি বন্দীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৯ ইসরায়েলি সেনা গ্রেপ্তার

ইসরায়েলের একজন সেনাসদস্যফাইল ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলে বন্দী এক ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণে অভিযোগে দেশটির নয়জন সেনাসদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ইসরায়েলের নেজেভ মরুভূমির কুখ্যাত সদে তেইমান বন্দিশিবির থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ওই বন্দিশিবির ভাঙচুর করেছেন ইসরায়েলের কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও উগ্র ডানপন্থীরা।

অভিযুক্ত সেনাদের গ্রেপ্তার করতে গতকাল সদে তেইমান বন্দিশিবিরে অভিযান চালায় ইসরায়েলের মিলিটারি পুলিশ। এ সময় সেখানে থাকা সেনাসদস্যরা তাঁদের বাধা দেন। গ্রেপ্তার ঠেকাতে বন্দিশিবিরের মধ্যে ব্যারিকেড দেন তাঁরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় মরিচের স্প্রে। তবে বাধা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত ৯ সেনাকে হেফাজতে নিতে সক্ষম হয় পুলিশ।

সংবাদমাধ্যম আরব ৪৮-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার ওই ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে বন্দিশিবির থেকে বিরশেবা এলাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি হাঁটতে পারছেন না বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ।

গ্রেপ্তারের ঘটনায় চটেছেন ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থীরা। গ্রেপ্তারের পর গতকালই সদে তেইমান বন্দিশিবিরের বাইরে জড়ো হন ডানপন্থী মতাদর্শের লোকজন। এর মধ্যে ছিলেন ইসরায়েলের হেরিটেজ (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক) মন্ত্রী আমিচাই এলিয়াহুসহ পার্লামেন্টের অনেক আইনপ্রণেতা। তাঁরা সেখানে হামলা চালান। পরে বেইত লিদ ঘাঁটিতে জড়ো হন প্রায় ১ হাজার ২০০ জন। সেনাসদস্যদের গ্রেপ্তারের পর এই ঘাঁটিতে নেওয়া হয়েছিল।

নয়জন সেনাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভে ডাক দিয়েছেন উগ্র ডানপন্থীরা। দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোৎরিচ অভিযুক্ত সেনাদের ‘বীর যোদ্ধা’ অভিহিত করেছেন। ফিলিস্তিনি বন্দীদের জন্য নির্ধারিত শিবিরগুলো দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভির। তিনি বলেছেন, এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ‘লজ্জাজনক’।