গাজায় যুদ্ধে ৩ ছেলেসহ ৬০ স্বজনকে হারিয়েছেন ইসমাইল হানিয়া

ফিলিস্তিনের গাজা নগরীতে হামাসের একটি সমাবেশে সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াফাইল ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। চলমান এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার ৩ ছেলেসহ ৬০ স্বজন নিহত হয়েছেন। আর আজ বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন হানিয়া নিজেও।
গত এপ্রিলে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে গাজা নগরীর পশ্চিমে একটি শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় নিহত হন হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল হানিয়া এবং তাঁর অন্তত তিন নাতি-নাতনি।

আরও পড়ুন

ওই হামলার সময় কাতারে ছিলেন হানিয়া। পরে তিনি সেখান থেকেই আল-জাজিরাকে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন, যুদ্ধের মধ্যে তাঁর ছেলেরা গাজায় অবস্থান করছিলেন। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে তাঁরা সবাই শাতি শরণার্থীশিবিরে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন।

ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়; গত ফেব্রুয়ারি ও গত বছরের অক্টোবরেও তাঁর ভাই, ভাতিজাসহ কয়েক স্বজন প্রাণ হারান। এরপর গত বছরের নভেম্বরে তাঁর এক নাতিও নিহত হন।

আরও পড়ুন

আল–জাজিরাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হানিয়া জানান, গত অক্টোবরে শুরু হওয়া এই এক যুদ্ধেই তাঁর অন্তত ৬০ জন স্বজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর ছেলে, ভাই, নাতি, ভাতিজা, ভাগনে রয়েছেন।

এদিকে তেহরানে হানিয়ার ওপর হামলার পেছনে কে জড়িত, সেটা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইরানে গিয়েছিলেন হানিয়া। গতকাল মঙ্গলবার তেহরানে এ অনুষ্ঠান হয়।

আরও পড়ুন

বিবৃতিতে বলা হয়, হানিয়া তেহরানে তাঁর আবাসস্থলে নিহত হয়েছেন। জায়নবাদী (ইসরায়েল রাষ্ট্রের কট্টর সমর্থক) হামলায় হানিয়া নিহত হয়েছেন। হানিয়া হত্যার জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের খানানি বলেছেন, হানিয়ার রক্ত কখনোই বৃথা যাবে না।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন