গাজায় চলমান হামলার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ব্লিঙ্কেনের পঞ্চম সফর

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনছবি: এএফপি ফাইল ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চলমান আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গাজায় ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর অঞ্চলটিতে তাঁর পঞ্চম সফর এটি।

নতুন দফায় মধ্যপ্রাচ্য সফরের শুরুতেই আজ সোমবার ব্লিঙ্কেনের সৌদি আরব যাওয়ার কথা। এরপর তিনি ইসরায়েল, মিসর ও কাতার সফরে যাবেন।

এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত আছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস-শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১২৭ জন নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

হামাস সরকারের গণমাধ্যম শাখা বলেছে, দক্ষিণ সীমান্তবর্তী শহর রাফাতে একটি কিন্ডারগার্টেনে হামলা হয়েছে। সেখানে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল।
বাস্তুচ্যুত মোহাম্মদ কলুব আশ্রয় নিয়েছেন রাফায় এলাকায়। এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকার উত্তর-দক্ষিণ কোথাও নিরাপদ জায়গা নেই।’ জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি রাফায় বসবাস করে।

‘হামাসের ২৪ ব্যাটালিয়নের মধ্যে ১৭টি ধ্বংস’

ইসরায়েল বলেছে, হামাসকে নির্মূলে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের স্থলবাহিনী রাফার দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা খান ইউনিস শহরে হামাসের একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে অভিযান চালিয়েছে। তাদের দাবি, ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামলা চালানোর জন্য সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তাঁর দেশের সেনাবাহিনী হামাসের ২৪ ব্যাটালিয়নের মধ্যে ১৭টিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাকি ব্যাটালিয়নগুলো গাজার দক্ষিণাঞ্চল ও রাফায় রয়েছে। তাদেরও মোকাবিলা করা হবে।

চার মাস ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা চলছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার তা পঞ্চম মাসে পড়বে। এমন অবস্থায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, মিসর ও কাতারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এর অংশ হিসেবে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন সিজোন প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন। মিসর ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য আলোচনা শুরুর ব্যাপারে ফ্রান্সের আগ্রহের কথা মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে জানিয়েছেন তিনি।