গাজায় বিদ্যালয়ে ইসরায়েলের হামলায় ২৫ জন নিহত, জানাল হামাস
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে একটি বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২৫ জনের প্রাণ গেছে। নিহত মানুষের এ সংখ্যা জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছে, ওই বিদ্যালয়ে গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছিল।
খান ইউনিসের মা’ন বিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার হামলার এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অনেককে উদ্ধার করে স্থানীয় নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিস। কয়েক দিন ধরে শহরটিতে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন শহরটির অনেক জায়গায় ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করেছে।
গতকালের হামলায় মোহাম্মেদ সালোউ নামের এক ব্যক্তির বোন নিহত হয়েছেন। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমার এক ভাই আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমার বোনের দেহ পড়ে আছে। আমরা তাকে উদ্ধার করতে পারিনি। তবে আমার ওই ভাই পরে বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
মোহাম্মেদ সালোউ বলেন, আসলে স্কুল শুধু নয়, আশপাশের এলাকাগুলোও হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে, চলমান সংঘাতে বেসামরিক মানুষদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। সংগঠনটির যোদ্ধারা বাস্তুচ্যুত মানুষদের মধ্যে আত্মগোপন করে রয়েছেন। এমনকি হাসপাতাল আর বিদ্যালয়েও লুকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। হামাস বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা—ওসিএইচএ বলছে, অবরুদ্ধ ও সংকীর্ণ গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে চলমান যুদ্ধে ৮০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেছে ১৬ হাজার মানুষের। গাজায় নির্বিচার হামলায় ৬০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।