ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক পরিবারের সবাই নিহত

ফিলিস্তিনের গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজা, ফিলিস্তিন, ৭ নভেম্বর ২০২৪ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তুশিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একই পরিবারের মা–বাবা, সন্তান, নাতি-নাতনিসহ সব সদস্যও।

গাজার স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল ছয়টায় উদ্বাস্তুশিবিরটিতে ওই হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত ব্যক্তিরা ওই শিবিরের বাসিন্দা।

পূর্বসতর্কতামূলক কোনো বার্তা ছাড়াই ইসরায়েল উদ্বাস্তুশিবিরের একটি ভবনে এ হামলা চালায়। ওই সময় লোকজন ভবনের ভেতরে অবস্থান করছিলেন।

আরও পড়ুন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটিতে থাকা বাসিন্দাদের অনেকেই ছিলেন শিশু ও নারী। তাঁরা উত্তর গাজা থেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নেওয়া সাধারণ মানুষও যে ইসরায়েলের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে পারছেন না, এ ঘটনা তারই উদাহরণ।

এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি না হওয়ায় এ–সংক্রান্ত প্রচেষ্টায় মধ্যস্থতা করা থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়াচ্ছে কাতার।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি না হওয়ায় এ–সংক্রান্ত প্রচেষ্টায় মধ্যস্থতা করা থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়াচ্ছে কাতার।

এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, নির্মম এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ও বেসামরিক লোকজনের চলমান দুর্দশার অবসানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যখন সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা দেখাবে, তখনই আবার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার মধ্যস্থতায় ফিরবে তারা।

আরও পড়ুন

বিস্তারিত উল্লেখ না করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টাকে ব্ল্যাকমেল করার হাতিয়ার বানানোকে কাতার মেনে নেবে না। তারা বলেছে, গাজায় চলমান যুদ্ধকে বৈধতা দিতে ও সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চলতি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার অপব্যবহার করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, দোহায় হামাসের কার্যালয় নিয়ে গণমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সেসব সঠিক নয়। তবে এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন

এর আগে কাতার থেকে হামাসের নেতাদের সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আহ্বান জানানো হয়েছে এবং দোহা এ বার্তা সংগঠনটির কাছে পৌঁছে দিয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এপি। এরপরই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হলো।

তবে হামাস কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁদের নেতাদের দেশটিতে আর স্বাগত জানানো হবে না, এমন কোনো বার্তা কাতারের কাছ থেকে তাঁরা পাননি।