গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কায়রোতে আলোচনায় বসছে হামাসের প্রতিনিধি দল

গাজায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের ভেতরে দাঁড়িয়ে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী, ২৯ নভেম্বরছবি: রয়টার্স

গাজা উপত্যকায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতিনিধিরা আজ শনিবার কায়রোতে যাচ্ছেন। হামাসের এক কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিষয়টির স্পর্শকাতরতার কারণে ওই কর্মকর্তা তাঁর নাম প্রকাশে রাজি হননি। এএফপিকে গতকাল শুক্রবার তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকায় জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক করতে আগামীকাল (আজ) হামাসের একটি প্রতিনিধি দল কায়রো যাবে।

ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার দুই দিনের মাথায় এ ঘোষণা এল। হিজবুল্লাহর মিত্র হিসেবে পরিচিত হামাস।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে কাতার, তুরস্ক ও মিসরের সঙ্গেও নতুন করে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরুর ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের হিসাব অনুসারে ওই হামলায় ১ হাজার ২০৭ জন নিহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, হামলায় এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৩৬৩ জন নিহত হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করেছিল হামাস। ধারণা করা হয়, জিম্মিদের মধ্যে ৯৭ জন এখনো গাজায় আছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এসব জিম্মির ৩৪ জন মারা গেছেন।

২০২৩ সালের নভেম্বরে হওয়া যুদ্ধবিরতির সময়ে ইসরায়েল থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তির বিনিময়ে প্রায় ১০০ জন জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছিল হামাস।

নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে এবং বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করতে চলতি বছরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। তবে তা ব্যর্থ হয়েছে।