গাজার সুড়ঙ্গ থেকে জিম্মি উদ্ধারের কথা বলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা একজন ইসরায়েলিকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনী গতকাল মঙ্গলবার বলেছে, এটা খুবই ‘জটিল’ অভিযান ছিল। হামাসের বন্দুকধারীদের হাতে জিম্মি হওয়ার ১০ মাসের বেশি সময় পর ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা গেছে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি একজন পুরুষ। নাম কায়েদ ফারহান আলকাদি। বয়স ৫২ বছর। তিনি ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বেদুইন সম্প্রদায়ের মানুষ। গাজার সীমান্তবর্তী একটি বসতিতে (কিবুতজ) তিনি নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। উদ্ধারের পর ফারহানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি বলেন, গাজায় ভূগর্ভস্থ একটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালিয়ে ফারহানকে উদ্ধার করা হয়। তবে এ অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
একজন সামরিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, যে এলাকায় ফারহানকে পাওয়া গেছে, সেখানে ইসরায়েলি সেনারা কাজ করছিলেন। একটি জটিল নকশার সুড়ঙ্গব্যবস্থার হদিস করছিলেন তাঁরা। ধারণা করা হচ্ছিল, সেখানে বিস্ফোরকসহ হামাস যোদ্ধারা আছেন; সেই সঙ্গে ইসরায়েলি জিম্মিদের রাখা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইসরায়েলি সেনারা যখন ফারহানের সন্ধান পান, তখন তিনি একাই ছিলেন। পরে তাঁকে সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা হয়। জিম্মিদের উদ্ধারে আগে যেসব অভিজ্ঞতা হয়েছিল, এবারের অভিযানে তা কাজে লাগানো হয়েছে।
ফারহানের বরাতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সুড়ঙ্গে থাকায় প্রায় আট মাস ধরে তিনি সূর্যের মুখ দেখেননি। তাঁর সঙ্গে আরও একজন জিম্মিকে মাস দুয়েক রাখা হয়েছিল। পরে ওই জিম্মি মারা যান।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি গাজা থেকে উদ্ধার হওয়া ফারহানের সঙ্গে কথা বলেছেন। ফারহানকে উদ্ধারের জন্য সেনাদের প্রশংসা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেছেন, হামাসের হাতে আটক থাকা প্রত্যেক জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েল ‘নিরলসভাবে’ কাজ করে যাবে।