১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষে জড়াল হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল

ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বলছে লেবাননের টায়ার শহর। ২৫ আগস্টছবি: রয়টার্স।

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গতকাল রোববার ইসরায়েলে শতাধিক ড্রোন ও রকেট হামলা করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বড় হামলা রুখে দিতে তারা লেবাননে প্রায় ১০০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। গত ১০ মাসে দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সীমান্ত যুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, রোববার সন্ধ্যায় রিশন, লেটসিয়ন ও মধ্য ইসরায়েলে সাইরেন বাজানো হয়েছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে এসেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এটি লোকালয়ের বাইরে খোলা জায়গায় বিস্ফোরিত হয়েছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ লেবাননের খিয়াম এলাকার বাড়িঘর থেকে হামলার পর ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। হামাসের সশস্ত্র ইউনিট জানিয়েছে, তারাও ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব লক্ষ্য করে ‘এম৯০’ রকেট নিক্ষেপ করেছে।    

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমান্তে সংঘাত শুরু হয়। এ সংঘাত আরও প্রকট হলে হিজবুল্লাহর পৃষ্ঠপোষক ইরান ও ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

গতকাল পাল্টাপাল্টি হামলায় লেবাননে তিনজন এবং ইসরায়েলে একজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। উভয় পক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে যে এখনকার জন্য নতুন করে সংঘাত এড়ানো গেছে। এতে তাঁরা আনন্দিত। তবে ভবিষ্যতে আরও হামলা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।  

হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, গত মাসে জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ফুয়াদ শোকরের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এ হামলা চালিয়েছে। গ্রুপটি হামলার প্রভাব মূল্যায়ন করছে। যথার্থ ফল না পেলে আমরা অন্য সময় আবার হামলা চালাব।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাঁরা পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ চান না। তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ গল্প এখানেই শেষ নয়। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশকে রক্ষায় আমরা সাধ্যের মধ্যে সবকিছু করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যে আমাদের ক্ষতি করবে, আমরাও তার ক্ষতি করব।’