গাজার হাসপাতাল থেকে প্রায় ৮০ হামাস সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি ইসরায়েলের

কামাল আদওয়ান হাসপাতাল প্রাঙ্গণছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতাল থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে। একই হাসপাতাল থেকে ‘সামরিক তৎপরতায় লিপ্ত’ প্রায় ৮০ হামাস সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী এসব কথা বলেছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলছে, হাসপাতালটিতে ‘ভয়াবহধ্বংসযজ্ঞ’ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত বুধবার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ইসরায়েলি বাহিনী কয়েক দিন ধরে গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালটি অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। সেখানে তারা রোগীদের কক্ষে গুলি ছুড়েছে এবং কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ওসিএইচএ) বলেছে, একই দিন হাসপাতালের বাইরের অজ্ঞাত স্থান থেকে হাসপাতালের পরিচালক এবং আরও প্রায় ৭০ চিকিৎসাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
 

ওসিএইচএ আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী পাঁচ চিকিৎসক ও নারী কর্মীকে মুক্তি দিয়েছে। তবে যাঁদের আটক করা হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, কামাল আদওয়ান হাসপাতাল এলাকায় তাদের কর্মকাণ্ডের সমাপ্তি টানা হয়েছে। ওই হাসপাতালটিকে হামাস নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও বলেছে, তাদের ‘সেনারা প্রায় ৮০ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ওই এলাকায় তাদের সন্ত্রাসী অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করেছে।’ হাসপাতাল থেকে ‘বিপুলসংখ্যক অস্ত্র’ উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি তাদের।

হাসপাতালের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে উল্লেখ করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ‘ওই কর্মীরা স্বীকার করেছেন, অস্ত্রগুলো ইনকিউবেটরে (অপরিণত শিশুদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত) লুকানো ছিল।

এদিকে শনিবার এক বিবৃতিতে হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালটির ভেতর ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। তাঁরা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষদের তাঁবুগুলো বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে।