হিজাব ইরানে আইনি বিষয়: রাইসি
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, তাঁর দেশে হিজাব একটি আইনি বিষয়। জনসমাগমস্থলে চুল ঢেকে না রাখায় ইরানে দুই নারীর মাথায় দই ছুড়ে মারার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এ প্রসঙ্গে রাইসি এ মন্তব্য করেন।
বিবিসি জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি দোকানে দুই নারী ক্রেতা ঢুকেছেন। তাঁদের সঙ্গে এক ব্যক্তি কথা বলছেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি দোকানের তাকে রাখা দইয়ের বাটি তুলে দুই নারীর মাথায় ছুড়ে মারেন।
ইরানের বিচার বিভাগ বলেছে, জনসমক্ষে চুল প্রদর্শনের জন্য ওই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরানে জনসমক্ষে চুল প্রদর্শন অবৈধ। জনসমাগমস্থলে গোলযোগ তৈরির জন্য ওই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাধ্যতামূলক হিজাব পরার নিয়ম বাতিলের দাবিতে ইরানে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যেই এই গ্রেপ্তার করার ঘটনা ঘটল। ভিডিও ফুটেজে দোকানে দুই নারীকে পণ্য কেনার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এক ব্যক্তি দুজনের সঙ্গে কথা বলার পর দুজনের মাথায় দই ছুড়ে মারেন। এরপর দোকানের বিক্রেতা ওই হামলাকারীকে দোকান থেকে বাইরে নিয়ে যান।
ইরানের মিজান সংবাদ সংস্থার খবর বলছে, ওই ব্যক্তি ও দুজন নারীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে দোকানের মালিককে প্রয়োজনীয় নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জনসমাগমস্থলে হিজাব না পরা ইরানে অবৈধ। তবে বড় বড় শহরে অনেকে হিজাব ছাড়া চলাফেরা করেন। সঠিকভাবে হিজাব না পরায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে নীতি পুলিশ তেহরানে আটক করে ২২ বছরের মাসা আমিনিকে। পুলিশি হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যু হয়।