ইসরায়েলে ইরানের হামলায় এ পর্যন্ত কী ঘটল
সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানিয়েছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)। গতকাল শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত আটটার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু হয়। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের প্রথম কোনো সরাসরি হামলা এটি।
শনিবার তেল আবিব, পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দেশটির ৭২০টির বেশি স্থানে বিমান হামলাজনিত সতর্কসংকেত বাজতে শোনা গেছে। ইসরায়েলি বাহিনীও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করার চেষ্টা করেছে।
পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দুই শতাধিক কিলার ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনীর সহযোগিতায় সীমান্তের বাইরে থাকতেই প্রতিহত করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী আরও জানায়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি ঘাঁটিসহ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে ইরান। সেখানকার অবকাঠামোগুলোতে হালকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, হামলায় এক মেয়েশিশু আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
বোমা হামলা থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর কাছাকাছি থাকার জন্য স্থানীয়দের নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড। তবে শনিবার আন্তর্জাতিক সময় দিবাগত রাত ১২টার দিকে সে আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
হামলা চালানোর পর জাতিসংঘে ইরানের মিশন বলেছে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের অভিযানের জবাব দেওয়া শেষ হয়েছে বলে মনে করছে তারা। ইসরায়েল সরকার যদি আবারও ভুল করে, তবে আরও কঠোরভাবে জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে ইরান।
ইসরায়েলের অনুরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আজ জরুরি বৈঠক করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সময় বিকেল চারটার দিকে এ বৈঠক হবে। ইরাক, জর্ডান, লেবানন ও ইসরায়েল সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে রেখেছে। কয়েকটি বিমান সংস্থা ওই অঞ্চলে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, ইরান দুই শতাধিক কিলার ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ‘বিশাল ঝাঁক’ পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং আঞ্চলিক মিত্ররা বড় সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করেছে। তাঁর দাবি, বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে।