ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশপ্রধান-উপপ্রধানসহ নিহত ৬৮

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের বিমান হামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার গাজার পুলিশপ্রধান, উপপ্রধানসহ ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার পুলিশপ্রধান মাহমুদ সালাহ ও উপপ্রধান হুসসাম শাহওয়ান নিহত হয়েছেন উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গাজার কর্তৃপক্ষ বলেছে, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকার আশ্রয়শিবিরের তাঁবু লক্ষ্য করে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় গাজার পুলিশপ্রধান-উপপ্রধানসহ মোট ১১ জন নিহত হন।

গাজার পুলিশপ্রধান-উপপ্রধান ছাড়াও সেখানে বাকি যে ৯ জন নিহত হয়েছেন, তাঁরা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। তাঁরা আশ্রয়শিবিরে ছিলেন।

আল-মাওয়াসির এই আশ্রয়শিবির বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানে হামলা চালাল ইসরায়েল।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, হামলাকালে গাজার পুলিশপ্রধান ও উপপ্রধান আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দাদের যাচাই–বাছাই করছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, উপত্যকার পুলিশপ্রধানকে হত্যার অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে দখলদার ইসরায়েল গাজায় বিশৃঙ্খলা ছড়ানো ও ফিলিস্তিনিদের মানবিক দুর্ভোগকে আরও গভীর করার তৎপরতা চালাচ্ছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় হামলা চালিয়েছে। হামলা চালিয়ে তারা শাহওয়ানকে হত্যা করেছে। তিনি দক্ষিণ গাজায় হামাস বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তবে পুলিশপ্রধান সালাহকে হত্যার বিষয়ে কিছু বলেনি ইসরায়েল।

এ ছাড়া গতকাল গাজার অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে আছে খান ইউনিসে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর।

গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক দিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ গতকালই নিহত হলো।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় গাজায় ৪৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।