ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে প্রাণ গেছে ২২ সাংবাদিকের
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতে একের পর এক সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতের এই সংখ্যা এর মধ্যে ২২–এ পৌঁছেছে।
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শুক্রবার সিপিজের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের মধ্যে সাংবাদিকদের প্রাণহানি, আহত, আটক কিংবা নিখোঁজ হওয়ার সব ঘটনা তদন্ত করে দেখেছে সিপিজে। গতকাল পর্যন্ত ২২ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
বর্তমানে গাজা উপত্যকায় জীবন বাজি রেখে সাংবাদিকদের কাজ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিপিজে। সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল হামলার ঝুঁকি, নির্বিচার বিমান হামলা, যোগাযোগব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়া ও বিদ্যুৎ–সংকটের জেরে কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সিপিজের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা কর্মসূচির সমন্বয়ক শেরিফ মনসুর বলেন, সাংবাদিকেরা বেসামরিক মানুষ। যেকোনো সংকটের সময় তাঁরা জীবনবাজি রেখে মাঠপর্যায়ে কাজ করেন। তাই যুদ্ধে সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানো উচিত নয়। সব পক্ষের উচিত সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
সিপিজের নিজস্ব সূত্র ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারানোর সময় এসব সাংবাদিক খবর সংগ্রহ করছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই দিনই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে নির্বিচার হামলা চলছে। অবরুদ্ধ রয়েছে গাজা উপত্যকা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। নিহত মানুষের মধ্যে শিশু ১ হাজার ৫২৪টি, নারী ১ হাজারের বেশি।
ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হামলা ও তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের দেশে নিহত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ সেনা ও পুলিশ সদস্য।