হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ ১০ সেনা নিহত
ফিলিস্তিনের গাজায় স্থল অভিযানে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে এক দিনেই এলিট গোলানি ব্রিগেডের ১ কমান্ডারসহ ১০ সেনা হারিয়েছে দেশটি। এ নিয়ে গাজায় স্থল অভিযানে ১১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৬০০।
গতকাল বুধবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, আগের দিন উত্তর গাজায় এক ঘটনায় ৯ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানে পৃথক ঘটনায় আরও এক সেনা এদিন নিহত হন।
ঠিক কোন পরিস্থিতিতে এই ব্যাটালিয়ন কমান্ডার নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তবে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর এই প্রথম এক দিনে এত বেশি সেনা হারাল ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিহত দুই সেনার পরিচয় প্রকাশ করেছে। তাঁরা হলেন কর্নেল ইৎঝাক বেন বাসাত (৪৪) ও সার্জেন্ট ইরান আলোনি (১৯)। এ ছাড়া নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে গোলানি ব্রিগেডের ১৩তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তোমের গ্রিনবার্গও রয়েছেন বলে জানানো হয়।
তবে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত সেনাদের মধ্যে দুজন মেজর এবং এক ক্যাপ্টেনও রয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, নিহত দুই মেজর ৬৬৯ স্পেশাল রেসকিউ ট্যাকটিক্যাল ইউনিটের সদস্য ছিলেন।
এর আগে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস উত্তর গাজায় এক লড়াইয়ে ১১ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করে। এক বিবৃতিতে কাসাম ব্রিগেডস বলেছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ট্যাংক থেকে এক সেনাকে উদ্ধারের সময় এই সেনাদের ওপর তাঁদের যোদ্ধারা হামলা চালান।
সেনা হতাহতের এ ঘটনাকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতাযুদ্ধের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গানৎজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের দ্বিতীয় স্বাধীনতাযুদ্ধ আমাদের কাছ থেকে ভারী, বেদনাদায়ক এবং কঠিন মূল্য নিচ্ছে।’
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল হালনাগাদ তথ্যে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৯৬ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১৮ হাজার ৬০৮ জন নিহত হয়েছেন।