পশ্চিম তীরে অস্কারজয়ী তথ্যচিত্রের সহপরিচালককে ইসরায়েলিদের মারধর, পরে গ্রেপ্তার
অধিকৃত পশ্চিম তীরে অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর ফিলিস্তিনি সহপরিচালক হামদান বাল্লালকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তার আগে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা তাঁকে মারধর করেন। তথ্যচিত্রের আরেকজন পরিচালক ইউভাল আব্রাহাম এক্স পোস্টে এ তথ্য জানান।
এ বছরের ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে (অস্কার) সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে জয়ী হয় ‘নো আদার ল্যান্ড’। গাজায় চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে চার ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি আন্দোলনকর্মী তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন। তাঁদেরই একজন হামদান।
ইউভাল আব্রাহাম বলেন, ‘আমাদের “নো আদার ল্যান্ড” ছবির সহপরিচালক হামদান বাল্লালকে বসতি স্থাপনকারীদের একটি দল মারধর করে আহত করেছে। তিনি মাথা ও পেটে আঘাত পেয়েছেন। রক্তপাত হয়েছে।
এই পরিচালক আরও বলেন, ‘তিনি (হামদান বাল্লাল) অ্যাম্বুলেন্স ডেকেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে ইসরায়েলি সেনারা হামদানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। এর পর থেকে তাঁর কোনো হদিস নেই।’
অহিংসবাদী ইহুদি সংগঠন সেন্টার ফর জিউইস নন–ভায়োলেন্স একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, রাতের বেলা ধুলায় ধূসরিত একটি মাঠে একজন মাস্ক পরা বসতি স্থাপনকারী ওই সেন্টারের দুজন কর্মীর দিকে তেড়ে আসেন। তখন তাঁরা দৌড়ে নিজেদের গাড়ির দিকে আসেন। একজন চিৎকার করে বলছিলেন, ‘উঠে (গাড়িতে) পড়ুন, উঠে পড়ুন!’
তাঁরা গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পাথর ছুড়ে গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলা হয়। গাড়িটা চলতে শুরু করলে চালক বলেন, ‘জানালার কাচ ভেঙে গেছে।’
এ সময় মাস্ক পরা ১০ থেকে ১২ জন বসতি স্থাপনকারী ঘটনাস্থলে পাথর ছুড়ে আর লাঠি নিয়ে অধিকারকর্মীদের ওপর হামলা করেন। গাড়ির জানালা ভেঙে ফেলেন। টায়ার কেটে দেন।
ঘটনাস্থলে থাকা অধিকারকর্মী জশ কিমেলম্যান বলেন, ‘হামদান বাল্লালকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা জানি না, তিনি এখন কোথায় আছেন।’
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।