সৌদি আরবের ব্যাপারে বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেবেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেছেন, আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ওপেকের তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রোববার তিনি এসব কথা বলেছেন। খবর আল–জাজিরার।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া নিয়ে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, সে ব্যাপারে বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেবেন বাইডেন। এ ক্ষেত্রে মার্কিন সামরিক সহায়তায় পরিবর্তন আনার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হতে পারে।
সম্প্রতি সৌদি নেতৃত্বাধীন তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক এবং রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন আরও ১০টি তেল উৎপাদনকারী দেশ জোটবদ্ধভাবে উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এ জোটের নাম দেওয়া হয় ওপেক প্লাস। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি আরব। ওয়াশিংটন বলছে, সৌদি আরব রাশিয়ার পক্ষে কাজ করছে।
এর মধ্যেই আগামী মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সুলিভান বলছেন, ওই সম্মেলনে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠকের পরিকল্পনা নেই।
সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট তড়িঘড়ি করে কোনো কাজ করবেন না। তিনি বুঝেশুনে ও কৌশলগতভাবে পদক্ষেপ নেবেন এবং দুই দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় নেবেন। কংগ্রেসের অধিবেশন শুরুর জন্যও অপেক্ষা করবেন তিনি, যেন কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে করণীয় নির্ধারণ করা যায়।
ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন কমানো হবে। এতে তেলের দাম আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাইডেন সৌদি আরবকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে তেল উৎপাদন কমিয়ে দিলে দেশটিকে অনির্ধারিত পরিণাম ভোগ করতে হবে।
সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বাদশাহ সালমানের ছেলে প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ শুনে তিনি ‘হতবাক’ হয়ে গেছেন। তাঁর ভাষ্যমতে, ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয়েছে। একেবারেই অর্থনৈতিক কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।