যুদ্ধের পরও গাজায় সেনা রাখতে চায় ইসরায়েল

ইসরায়েলি হামলায় ছেলে মুহাম্মদকে হারিয়েছেন বাবা আহমেদ আজম। গতকাল গাজার আল-আকসা হাসপাতালেছবি: রয়টার্স

গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে পরিকল্পনা সামনে এনেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারত্ব অব্যাহত থাকবে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ থাকবে গাজা। এর রাজধানী হবে জেরুজালেম। এ ছাড়া অন্য যেকোনো পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। এর বাইরে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের যেকোনো ইসরায়েলি প্রচেষ্টা বাস্তবে সফল হবে না।

নেতানিয়াহু

আবু রুদেইনাহ আরও বলেন, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা চাইলে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং বিশ্বকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে হবে।

এর আগে টাইমস অব ইসরায়েল–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর প্রস্তাব ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভায় তোলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গাজা শাসন করার জন্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। সেখানে কোনো সামরিক বাহিনী থাকবে না, মিসরের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং গাজার বেসামরিক প্রশাসন ও শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা হবে। সেখানে স্বাধীনভাবে যত দিন সম্ভব ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অভিযান শেষ হলে তারপরের পরিস্থিতি নিয়ে নেতানিয়াহুর এটাই প্রথম পরিকল্পনা। গত বৃহস্পতিবার তিনি ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদে একটি নথি উত্থাপন করেন। তাতে বলা হয়, জর্ডানের পশ্চিমের পুরো ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরায়েল।

হামলা অব্যাহত

বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যেও ইসরায়েল গাজায় তাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার গাজার দেইর আল–বালাহ অঞ্চলে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন।