গাজায় বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালে ইনকিউবেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অপরিণত নবজাতকদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। নবজাতকদের ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির পাশে রাখা হচ্ছে।
অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের ইনকিউবেটরে রাখতে হয়। কিন্তু ইসরায়েল গাজায় জ্বালানি ঢুকতে না দেওয়ায় হাসপাতালগুলোর জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ইনকিউবেটরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালের আশপাশের সড়কে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় সেবাদান বন্ধ হয়ে গেছে।
অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা সদ্যজাত শিশুদের বাঁচিয়ে রাখতে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নবজাতক বিভাগের ইনকিউবেটর থেকে এসব নবজাতককে হাতে করে নিয়ে হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগে ছুটছেন তাঁরা।
গত রোববার আল-আরাবি টেলিভিশনকে আবু সালমিয়া বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেও আমি তাদের সঙ্গে ছিলাম। তারা এখন বাইরে। কারণ, আমরা তাদের ইনকিউবেটর থেকে বের করে নিয়েছি। শরীর উষ্ণ রাখার জন্য তাদের ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির কাছে রাখা হয়েছে।’
একাধিক ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতালটিতে সদ্যজাত কিছু শিশুকে ইনকিউবেটরের বাইরে সাধারণ শয্যায় রাখা হয়েছে।