সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৭
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার রাতে হামলার এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন বেসামরিক নাগরিক।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সিরিয়ায় কয়েক শ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তারা বিশেষ করে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালায়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, গতকাল হামলা হয়েছে সিরিয়ার মাসইয়াফ অঞ্চলে। ইসরায়েলের এ হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৭। এর মধ্যে এক পুরুষ ও তাঁর সন্তানসহ তিনজন বেসামরিক নাগরিক। তাঁরা একটি গাড়িতে ছিলেন। এ ছাড়া হামলায় চার সেনা নিহত হয়েছেন। তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি জানায়, হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এলাকার কয়েকটি সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
সংস্থাটি আগে এক বিবৃতিতে বলেছিল, মাসইয়াফের বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রগুলো যেখানে অবস্থিত, সেখানে ১৩টি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এই এলাকায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান ছিল। এ ছাড়া সেখানে অস্ত্র উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার আগের এক প্রতিবেদনে ৫ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছিল।
একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে সানার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কয়েকটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ সংঘাত শুরুর পর থেকে সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলা তীব্র হয়েছে।
সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করে না বললেই চলে। তবে তারা বারবার বলে আসছে, ইরানের উপস্থিতি সিরিয়ায় সম্প্রসারিত হতে দেবে না তারা।