বিয়ের তিন মিনিটের মাথায় বিচ্ছেদ
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে আদালত কক্ষ থেকে বের হচ্ছিলেন নবদম্পতি। এ সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে যান কনে। পড়ে যাওয়ায় কনেকে ‘নির্বোধ’ বলে বসেন বর। এরপর যা ঘটেছে, তা ছিল ধারণার বাইরে।
বর এভাবে অপমান করায় ক্ষুব্ধ হন কনে। সেখান থেকেই আবার ছুটে যান বিচারকের কাছে। ঘটনা তুলে ধরে তাৎক্ষণিক বিচ্ছেদের আবেদন করেন ওই নারী। বিচারক তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। বিয়ের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ঘটে ওই বিচ্ছেদ। বলা হচ্ছে, কুয়েতের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে স্বল্পস্থায়ী বিয়ে। কুয়েতের ঘটনাটি ২০১৯ সালের। বিষয়টি আবারও নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে নানা মত দিয়েছেন নেটিজেনরা।
হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ায় কনেকে ‘নির্বোধ’ বলে বসেন বর। এভাবে অপমান করায় ক্ষুব্ধ হন কনে। তাৎক্ষণিক বিচ্ছেদের আবেদন করেন ওই নারী।
ঘটনাটি নতুন করে সামনে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে এক ব্যক্তির দেওয়া পোস্ট ঘিরে। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি একটি বিয়েতে গিয়েছিলাম। সেখানে কনেকে তিরস্কার করে কথা বলতে দেখলাম বরকে। এমন তিরস্কার মেয়েকে বাবাই করে থাকেন। (কুয়েতের) ওই নারী যে কাজটি করেছেন, এই কনেরও তেমনটা করা উচিত ছিল।’
এই পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, কোনো বিয়েতে যদি পরস্পরের প্রতি সম্মান না থাকে, তাহলে একেবারে শুরু থেকেই এটি ব্যর্থ সম্পর্কগুলোর একটি। আরেকজন লিখেছেন, কেউ যদি শুরু থেকেই এ ধরনের আচরণ করে থাকেন, তাঁকে ছেড়ে যাওয়াই উচিত।
তবে খুব অল্প সময়ে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০০৪ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে স্কট ম্যাককি ও ভিক্টোরিয়া অ্যান্ডারসনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষের দেড় ঘণ্টার মাথায় ভেঙে যায়। কনের মেয়েসঙ্গীদের সঙ্গে বরের ঘনিষ্ঠতায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন কনে।