রাইসির শেষযাত্রায় তাবরিজে হাজারো মানুষের ঢল
ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে দেশটির সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শেষযাত্রায় হাজারো শোকার্ত মানুষ শামিল হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার এই শহরে রাইসির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে রাইসি নিহত হন।
তাবরিজের কেন্দ্রস্থলে রাইসির মরদেহ ঘরে শোক জানাতে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। অনেকে ইরানের জাতীয় পতাকা হাতে এসেছিলেন। অনেকের হাতে ছিল রাইসির ছবিসহ প্ল্যাকার্ড। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাবরিজবাসী প্রয়াত প্রেসিডেন্টকে শেষবিদায় জানান।
এরপর রাইসি ও তাঁর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানের মরদেহ ইরানের মধ্যাঞ্চলের ঐতিহাসিক কোম শহরে নেওয়া হয়। সেখানেও তাঁদের জানাজা হয় বলে জানান ইরানে আল–জাজিরার সংবাদকর্মী রাসুল সেরদার। পরে রাইসি ও আবদোল্লাহিয়ানের মরদেহ তেহরানে নেওয়া হয়।
তেহরানের আজ বুধবার রাইসির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ আয়োজনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। রাজধানীতে রাইসির প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানাবেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ।
ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে রাইসির জন্ম ও বেড়ে ওঠা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সেখানেই তাঁকে দাফন করা হবে।
আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত রোববার দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন।
সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের একটি বহর নিয়ে তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর গত সোমবার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তাঁর দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তিনি শহীদ হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য ব্যক্তিরাও নিহত হয়েছেন।