ইসরায়েলের প্রস্তাবিত জ্বালানি দিয়ে আধা ঘণ্টার বেশি চলবে না: আল–শিফার চিকিৎসক

আল–শিফা হাসপাতালের বাইরের অংশ, ১০ নভেম্বর
ছবি: এএফপি

গাজা উপত্যকায় জ্বালানিসংকটে কার্যক্রম চালাতে পারছে না আল–শিফা হাসপাতাল। এ অবস্থায় হাসপাতালটিতে দৈনিক ৩০০ লিটার জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন, এ পরিমাণ জ্বালানি দিয়ে মাত্র আধা ঘণ্টা কাজ চালানো যাবে।

আল–শিফা হাসপাতাল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। ইসরায়েলের হামলায় আহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের অনেকে হাসপাতালটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর থেকে হাসপাতালটি বারবার হামলার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি জ্বালানিসংকটের কারণে সেখানকার বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা সচল রাখা যাচ্ছে না। এতে হাসপাতালটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন

হাসপাতালের শল্য চিকিৎসা বিভাগের প্রধান মারওয়ান আবু সাদা বলেন, আল–শিফা হাসপাতালের জেনারেটর চালাতে সাধারণত ২৪ হাজার লিটার জ্বালানির প্রয়োজন হয়। হাসপাতালটিতে এখন মাত্র একটি জেনারেটর সচল আছে। সেটি ব্যবহার করতে গেলে দিনে ৯ থেকে ১০ হাজার লিটার জ্বালানির প্রয়োজন।

বিবিসিকে আবু সাদা বলেন, ‘৩০০ লিটার কিছুই নয়। এ দিয়ে মাত্র আধা ঘণ্টা জেনারেটর চলবে।’

আল–শিফা হাসপাতালের এই চিকিৎসক আরও বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এবং অস্ত্রোপচারকক্ষ এখন পুরোপুরি সৌরবিদ্যুতে চলছে। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৪৫ কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

গত এক মাসে অজ্ঞাতপরিচয় রোগীদের সমাহিত করতে আল–শিফা হাসপাতালের কর্মীদের চারটি গণকবর খুঁড়তে হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে আরও ১০০টি মৃতদেহ উন্মুক্ত অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়েছে।

আবু সাদার আশঙ্কা, এখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

পুরো পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর বলে উল্লেখ করেন আল–শিফা হাসপাতালের এই চিকিৎসক।