ইরানকে ‘সর্বোচ্চ চাপে’ রাখার নীতি থেকে ট্রাম্পকে সরে আসার আহ্বান তেহরানের

ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: রয়টার্স

ইরানকে ‘সর্বোচ্চ চাপে’ রাখার নীতি থেকে সরে দাঁড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আজ শনিবার এ আহ্বান জানান ইরানের কৌশলগত বিষয়াদি–সংক্রান্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভাদ জারিফ।

জারিফ একসময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালে তেহরান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরে সহায়তা করেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। পরে ইরানের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে দেশটি। তখন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

মার্কিন প্রশাসনের ওই পদক্ষেপের জবাবে চুক্তির শর্ত এড়িয়ে আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে ইরান। তবে ওই ইউরেনিয়াম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হবে না বলে দাবি করে আসছে তারা। এসব বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করেই আজ জাভাদ জারিফ বলেন, ‘ট্রাম্পকে এটা দেখাতে হবে, তিনি অতীতের ভুল নীতি আর অনুসরণ করবেন না।’

জারিফ আরও বলেন, ট্রাম্পকে এটা বুঝতে হবে যে ইরানকে ‘সর্বোচ্চ চাপে’ রাখার যে নীতি ট্রাম্প হাতে নিয়েছিলেন, তার জেরেই তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার পথে হেঁটেছিল, যা সাড়ে ৩ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশে পৌঁছেছিল। একজন হিসাবি মানুষ হিসেবে এই নীতির সুফল ও কুফলগুলো তাঁকে দেখতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি এই ক্ষতিকর নীতি জারি রাখবেন নাকি বন্ধ করবেন।

২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ইরানের প্রভাবশালী বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডসের শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানিকেও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থান করছিলেন সোলাইমানি। সেখানেই তাঁকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।

তবে গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ইরানের কোনো ক্ষতি করার বিষয়ে ভাবছেন না তিনি। তাঁর ভাষায়, ‘আমার শর্তগুলো খুবই সহজ-সরল। তাদের (ইরান) কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারবে না। আমি চাই, তারা খুবই সফল একটি দেশ হোক।’