তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

একটি শরণার্থীশিবিরের দৃশ্য। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিবে, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ছবি : রয়টার্স

সিরিয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে। তুরস্কের সহায়তাপুষ্ট বিদ্রোহীদের জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) দেশটির উত্তরাঞ্চলের মানজিব শহরে আগামী সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি পালন করবে।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের এ খবর জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘সামনে কীভাবে এগোনো যায়, তা নিয়ে আমরা তুরস্ক ও এসডিএফের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলাপ-আলোচনা করছি। যত বেশি দিন সম্ভব যুদ্ধবিরতি বাড়ানোই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য।’

‘সিরিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কোনো পক্ষ দেশটির বৃহত্তর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে অগ্রসর হোক, তা আমরা চাই না,’ তিনি যুক্ত করেন।

বিদ্রোহীদের ঝটিকা অভিযানের মুখে গত ৮ ডিসেম্বর ১২ দিনের মাথায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন হয়। তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। বাশারের পতনের পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো এসএনএ ও এসডিএফের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে যুক্তরাষ্ট্র।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জোটকে সহায়তা দিয়ে আসছে। এসডিএফ এসব জোটের মধ্যে অন্যতম। এদের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াই পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসডিএফের মধ্যে ওয়াইপিজি সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। তুরস্ক ওয়াইপিজি-কে নিজ দেশে ৪০ বছর ধরে তৎপর কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা মনে করে। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ে সশস্ত্র রাজনৈতিক দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মনে করে।

ন্যাটো সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে পরস্পরবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়েছে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারা।