রাতে গাজায় ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েলি সেনারা

গাজা সীমান্তে সাঁজোয়া যানসহ কয়েক লাখ সেনা পাঠিয়েছে ইসরায়েল
ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার বোমা হামলার মধ্যেই এবার উপত্যকাটিতে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান চালাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনারা। গতকাল রোববার রাতভর গাজায় এমন বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিন গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি আজ সোমবার বলেছেন, ‘(রোববার) রাতে গাজায় ইসরায়েলের ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। যেসব সন্ত্রাসী যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তাদের হত্যা করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ ও জিম্মি করা ইসরায়েলিদের বিষয়ে যেকোনো গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে তল্লাশি চালানোও ছিল এ অভিযানের লক্ষ্য।’

আরও পড়ুন

এর আগে রোববার রাতে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে সংঘর্ষে জড়ান ইসরায়েলি সেনা ও হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, ওই এলাকাটিকে ‘সন্ত্রাসী’ ও তাদের অস্ত্রশস্ত্র মুক্ত করতে এবং জিম্মিদের খুঁজতে অভিযান চালিয়েছিল তারা। এ সময় হামাস সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েন। এতে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে হামাস বলেছে, খান ইউনিসের পূর্ব অঞ্চলে ইসরায়েল বাহিনী ওই অভিযান চালায়। ইসরায়েলি সেনারা সীমান্ত পেরিয়ে গাজার ভেতরে কয়েক মিটার ঢুকে পড়েন। ইসরায়েলের হুমকির মুখে উত্তর গাজা থেকে অনেক ফিলিস্তিনি পালিয়ে খান ইউনিসসহ দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।

আরও পড়ুন

খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর ওই অভিযানের সময় তাদের একটি ট্যাংক ও দুটি বুলডোজার ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। গোষ্ঠীটির দাবি, তাদের পাল্টা হামলার মুখে নিজেদের যানবাহন ফেলে রেখে ইসরায়েলে ফিরে যান দেশটির সেনারা।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এর পর থেকে গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল বাহিনী। এতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাবার ও পানিবিচ্ছিন্ন এ উপত্যকাটিতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির। এরই মধ্যে সেখানে সর্বাত্মক হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ লক্ষ্যে গাজা সীমান্তজুড়ে সামরিক তৎপরতা জোরদার করেছে তারা।  

আরও পড়ুন