ইরানের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানকে নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের বানানো।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসি ও আব্দোল্লাহিয়ান বেল-২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টারে ছিলেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা একটি হেলিকপ্টার। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা-এর বরাতে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স। হেলিকপ্টারটি ছিল মাঝারি আকারের। এতে পাইলটসহ ১৫ জন বসতে পারেন।
বিবিসির খবরেও বলা হয়েছে, ইরানে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা বেল-২১২ মডেলের। তবে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের কাছে এমন কোনো হেলিকপ্টার বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। পাহাড়ি এলাকায় চলছে ব্যাপক তল্লাশি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইরানের কর্মকর্তারা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে আরও বলা হয়েছে, মূলত বৈরী আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ সোমবার ভোরের দিকে উজ্জ্বল রঙের জ্যাকেট পরে, মাথায় টর্চ জ্বালিয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পায়ে হেঁটে উদ্ধারকারীদের তল্লাশি চালানোর ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একজন আঞ্চলিক সেনা কমান্ডার বলেছেন, ঘটনাস্থলের প্রতি ইঞ্চি ভূমিতে তল্লাশি চালানো হবে। ওই এলাকায় তীব্র শীত পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ছেয়ে আছে চারপাশ। অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।